শুক্রের পর শনিতেও, ফের মর*ণোত্তর অঙ্গ*দানের নজির মহানগরীতে!

মৃত্যুতে এক জীবন শেষ হলেও মরণোত্তর অঙ্গদানে বেঁচে থাকতে পারে অন্য জীবন। তাই মৃত্যুর পরে অন্যকে ভাল রাখতে অঙ্গদানের কথা বারবার বলে শিক্ষিত সমাজ। এবার সেই সুরেই তাল মেলাল মহানগরী। শুক্রবারের পর শনিবারও জোড়া মরণোত্তর অঙ্গদানের (Dual Organ donation) নজির শহরে। রিজিওনাল অর্গান অ‌্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট (Regional Organ and Transplant) এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দুটির মধ্যে একটি অঙ্গদান হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital),অপরটি কলকাতার অ‌্যাপোলো হাসপাতালে ।

যত সময় এগোচ্ছে ততই চক্ষুদানের পাশাপাশি মৃত্যুর পর অঙ্গদানেও এগিয়ে আসছে পরিবার। গত ৬ ডিসেম্বর কাজ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন বছর আটত্রিশের শ্যামসুন্দর দাস। দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেই রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়। কিন্তু মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও শেষমেশ কোনও লাভ হয় নি। শুক্রবার রাতে চিকিৎসকরা জানান শ্যামসুন্দরের ব্রেন ডেথ (Brain death)হয়েছে। এরপরই মৃতের দুটি কিডনি, লিভার, দুটি চোখের কর্নিয়া দানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। পরেরদিন অর্থাৎ শনিবারই কলকাতার (Kolkata) অ‌্যাপোলো হাসপাতালে বরানগরের বাসিন্দা তারক দত্তের অঙ্গদান হয়। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে শুক্রবার তাঁর ব্রেন ডেথ হয়েছিল বলে পরিবার সূত্রে খবর। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির দেহে শ্যামসুন্দরের লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় । একটি কিডনি যায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে, অপরটি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন এক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপিত হয়। শ্যামসুন্দরের ফুসফুসে গুরুগ্রামের (Gurugram) মেদান্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্যামসুন্দরের স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর ত্বক সংগ্রহ করা হয়েছে।

Previous articleরাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ! জনতাকে ছ.ত্রভঙ্গ করতে পুলিশের হাতে নয়া অ.স্ত্র দেওয়ার ভাবনা নবান্নর
Next articleবৃদ্ধার ঘরে বসে চা সহযোগে গল্প! ‘ঘরের মেয়ে মমতা’কে ঘিরে আবেগে ভাসল আলিপুরদুয়ার-বানারহাট