রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ! জনতাকে ছ.ত্রভঙ্গ করতে পুলিশের হাতে নয়া অ.স্ত্র দেওয়ার ভাবনা নবান্নর

দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য, যেখানকার পুলিশ প্রথম এই অত্যাধুনিক পদ্ধতির গ্রেনেড ব্যবহার করবে। প্রাথমিক পর্বে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ১০টি এমন ড্রোন লঞ্চার কিনছে নবান্ন।

এবার কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ ভাবনা রাজ্য পুলিশের (State Police)। বিক্ষোভরত উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করাই হোক বা দাঙ্গা মোকাবিলা, সবকিছুতেই চিন্তা কমাতে এবার গ্রেনেড ছোঁড়ার ভাবনা কলকাতা পুলিশের। তবে এই গ্রেনেড ছোঁড়া হবে ড্রোন মারফত। অত্যাধুনিক এই ‘ড্রোন বেসড চিলি গ্রেনেড লঞ্চার’ (Drone Based Chili Grenade launcher) খুব শীঘ্রই রাজ্য পুলিশের হাতে আসছে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, এই গ্রেনেড ফাটানোর পর তার তীব্র ঝাঁঝালো ধোয়ার জেরেই ছত্রভঙ্গ হবে উত্তেজিত মারমুখী জনতা। তবে মানুষের শরীরে এর জন্য কোনও ক্ষতি হবে না। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য, যেখানকার পুলিশ প্রথম এই অত্যাধুনিক পদ্ধতির গ্রেনেড ব্যবহার করবে। প্রাথমিক পর্বে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ১০টি এমন ড্রোন লঞ্চার কিনছে নবান্ন (Nabanna)।

তবে রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার লক্ষ্যে মানুষকে প্ররোচিত করে হিংসার পথে হাঁটানোর পরিকল্পনা আগামী কয়েকমাসে আরও বাড়বে। এমন ফাঁদও নাকি পাতা হবে, যাতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। এই পরিস্থিতি এড়াতেই ড্রোন বেসড চিলি গ্রেনেড লঞ্চার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। ড্রোন বেসড চিলি গ্রেনেড লঞ্চার যে কোনও জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। ক্যামেরার সাহায্যে দেখা যাবে কোথায় কোথায় উচ্ছৃঙ্খল জনতা ভাঙচুর করছে, আগুন লাগাচ্ছে এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে। ড্রোন লঞ্চার মুহূর্তের মধ্যে সেখানে পৌঁছে নিক্ষেপ করবে চিলি গ্রেনেড। লঙ্কা পোড়ানোর মতো শক্তিশালী ঝাঁঝালো ধোয়ায় ছত্রভঙ্গ হবে উন্মত্ত জনতা।

এদিকে ড্রোন লঞ্চার নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাবার্তা হয়েছে স্বরাষ্ট্র ও অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের। ড্রোন কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে পুলিশ কর্মীদের।

 

 

 

 

Previous articleভারতীয় দলের সঙ্গে কতদিনের চুক্তি দ্রাবিড়ের? জানালেন বোর্ড সচিব
Next articleশুক্রের পর শনিতেও, ফের মর*ণোত্তর অঙ্গ*দানের নজির মহানগরীতে!