গায়ের জো.রে সাংসদ পদ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ! সুপ্রিম দ্বারস্থ মহুয়া, জমা দিলেন বিস্তারিত আবেদন

তবে এদিন শীর্ষ আদালতে পেশ করা আবেদনে যে পদ্ধতিতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া।

টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে (Cash For Question) আগেই এথিক্স কমিটির (Ethics Committee)  সুপারিশে সাংসদ (MP) পদ খোয়াতে হয়েছে। এবার সেই সিদ্ধান্তের পাল্টা দিলেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) ওয়েবসাইটে (Website) প্রাথমিকভাবে মামলা দায়ের করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন ১৫ পাতার একটি বিস্তারিত আবেদন (Petition) মহুয়া জমা দিয়েছেন বলে খবর। তবে শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, দ্রুত এই মামলা তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এদিন শীর্ষ আদালতে পেশ করা আবেদনে যে পদ্ধতিতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। উল্লেখ্য, লোকসভায় মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রি। তার ভিত্তিতেই বিষয়টির তদন্ত করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। সেই তদন্তের রিপোর্ট শুক্রবার লোকসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে পেশ করেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকর। তবে এদিনের আবেদনে তাঁর প্রাক্তন আইনজীবী বন্ধু জয়ের ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল তা তুলে ধরেছেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ। ১৫ পাতার ওই আবেদনে মহুয়া এও উল্লেখ করেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে হেনস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মহুয়ার আরও অভিযোগ, কোনওরকম প্রক্রিয়া না মেনেই লোকসভায় স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তাঁর সাংসদ পদ জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে মহুয়ার বিরুদ্ধে এমন শাস্তির বিরোধিতায় ইতিমধ্যে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল সহ ইন্ডিয়া জোট কী ভাবে এথিক্স কমিটি এক সাংসদকে বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বিস্তর প্রশ্ন। পাশাপাশি এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) তদন্ত রিপোর্ট গোপন থাকার কথা থাকলেও আগেই তা কী ভাবে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি মহুয়াকে কিছু বলতে না দেওয়ার প্রসঙ্গটিও সামনে এসেছে।

এদিকে সোমবার সকালে দিল্লি হাইকোর্টে জয় দেহাদ্রি এবং নিশিকান্ত দুবের বিরুদ্ধে মহুয়ার দায়ের করা মানহানির মামলাটি শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের আবেদনটি প্রকাশ্যে আসে। সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের কথা হাইকোর্টকে জানানোর পর, বিষয়টি ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয় হাই কোর্টে। উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের দিনই সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, আমার বয়স ৪৯ বছর এবং আগামী ৩০ বছর আমি সংসদের ভিতরে এবং বাইরে আপনার সাথে লড়াই করব নর্দমায় এবং রাস্তায়। আমরা তোমার শেষ দেখব, এটা তোমার শেষের শুরু।

 

 

 

 

Previous articleজানুয়ারিতে গড়াবে না নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোর চাকা! কোথায় রইল জট?
Next articleচু.ক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে অ.সন্তুষ্ট কলকাতা হাই কোর্ট