চোখের সামনে উপাচার্যের (Vice-chancellor) বুকে ব্যথা। চেনে টেনে ট্রেন দাঁড় করানো। স্টেশনে নেমে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এসইউভি (SUV) গাড়ি জবরদস্তি বের করে উপাচার্যকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছানো। কিন্তু রবিবার রাতে তাতেও শেষরক্ষা হল না। হাসাপাতালে পৌঁছাতেই ডাক্তার ঘোষণা করেন মৃত্যু হয়েছে উপাচার্যের। প্রথমত চোখের সামনে নিজেদের উপাচার্যের এই করুণ পরিণতি। তারপরেও যেন দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ল না পি কে বিশ্ববিদ্যালয়ের (P K University) এবিভিপি (ABVP) সমর্থক ছাত্রদের। যে গাড়ি তাঁরা ছিনতাই (snatching) করেছিল তা ছিল হাইকোর্টের বিচারপতির। গাড়ি ছিনতাইয়ের অপরাধে সেই ছাত্রদের নামেই অভিযোগ দায়ের করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ!
এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছে কোনটা অন্যায় বা কোনটা বেশি অন্যায়। মধ্যপ্রদেশের শিবপুরির পি কে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য দিল্লি থেকে শিবপুরি চার্জ গ্রহণ করতে আসছিলেন ট্রেনে। সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া। আগ্রা স্টেশনের কাছে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থার অবনতি হলে গোয়ালিয়র (Gwalior) স্টেশনের কাছে চেন টানেন পড়ুয়ারা। স্টেশনে এসে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পাননি তাঁরা। মৃতঃপ্রায় উপাচার্যকে বাঁচাতে পার্কিংয়ে থাকা একটি এসইউভি গাড়ি নিয়ে পৌঁছান হাসপাতালে।
পড়ুয়াদের চেষ্টা বিফলে গেলেও আইনের চোখে তাঁরা অপরাধী হয়ে পড়ে। বিচারপতি সঞ্জীব এস কালগাংওয়াকারের গাড়ি নিয়ে যাওযার অপরাধে পড়াও থানার পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাতে পড়াও থানার (Padav police station) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে এবিভিপি-র ছাত্ররা। তাদের দাবি কারো জীবন বাঁচানোর চেষ্টার পরিবর্তে যদি অভিযোগ দায়ের হয় তাহলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অবিলম্বে এফআইআর প্রত্যাহারের দাবি তোলা হয় এবিভিপি-র পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন- CBI-র কাছে টাকা ফেরতের দাবি ‘অভিমানী’ নন্দিনীর, অর্থকষ্টে তাপস পালের পরিবার!