উদ্ধারকারীদের লাগাতার পরিশ্রম! শেষমেশ পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার স.দ্যোজাত

কিন্তু কে বা কারা ওই শিশুটিকে পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলে গেল, তা এখনও জানা যায়নি। এখনও অবধি শিশুটির কোনও দাবিদারও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গ্রামের এক ধারে পরিত্যক্ত কুয়ো (Borewell)। আর তার মধ্যে থেকেই ভেসে আসছে শিশুর কান্নার আওয়াজ। এমন আওয়াজ শুনতে পেয়েই কুয়োর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। দেখা যায়, ২০ ফুট গভীর কুয়োর ভিতরে কেউ বা কারা ফেলে দিয়ে গেছে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে (Newborn Baby)। তবে এত ভিতরে পড়ে গিয়ে একেবারেই বাঁচার আশা ছিল না তার। কিন্তু দমকল কর্মী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও চিকিৎসকদের লাগাতার পরিশ্রমে টানা ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হল একরত্তিকে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।

মঙ্গলবার ওড়িশার (Odissa) সম্বলপুরে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় নবজাতক শিশুকে। পুলিশের অনুমান, শিশুটির বয়স দুই-তিন দিন। কিন্তু কে বা কারা ওই শিশুটিকে পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলে গেল, তা এখনও জানা যায়নি। এখনও অবধি শিশুটির কোনও দাবিদারও খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্বলপুরের রেঙ্গালির লারিপালিতে একটি খোলা পড়ে থাকা পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে শিশুর কান্না ভেসে আসে। এলাকার বাসিন্দারা তড়িঘড়ি শিশুটিকে দেখতে পেতেই পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আসে দমকল বাহিনী। পাশাপাশি মাটি খোঁড়ার মেশিন এনে কুয়োর চারপাশের মাটি কাটা হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খননকাজ যত এগোয়, ততই স্পষ্ট হয় শিশুটির কান্না। কুয়োর ভিতরে আটকে থাকা শিশুটির অবস্থান বুঝতে পাঠানো হয় ক্যামেরা। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রাখতে বিশেষ ল্যাম্পও পাঠানো হয় কুয়োর ভিতরে। এদিকে উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে বিমানে করে বিশেষ অপটিক্যাল ফাইবার ও ক্যামেরাও পাঠানো হয়। এরপর দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর অবশেষে কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় নবজাতক শিশুটিকে।

বর্তমানে সম্বলপুরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুটি। পুলিশ শিশুটির অভিভাবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আপাতত শিশুটি সুস্থই রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

 

 

 

Previous articleBJP সাংসদের ‘অতিথি’! জানা গেল, সংসদে ‘হানাদার’দের পরিচয়
Next articleপ্লাস্টিক বন্ধে কড়া মেয়র, এবার কোন শাস্তির পথে স্থানীয় হকার্স ইউনিয়ন