বিস্ফোরক (Explosive) উদ্ধারকাণ্ডের তদন্তে তিহার জেলে (Tihar Jail) সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বীরভূমে ফের উদ্ধার হল বিস্ফোরক (Explosives)। শুক্রবার রাত থেকে চলা তল্লাশিতে নলহাটি থানা এলাকার চন্দননগর গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। সূত্রের খবর, পরিত্যক্ত পাথর খাদানের ঘরে বিস্ফোরক ও ডিটোনেটরগুলি রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে।


উল্লেখ্য, নলহাটি থানার এলাকার চন্দননগর গ্রামে পাথর খাদানে বিস্ফোরক রাখা আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে খাদানে অভিযান চালায় পুলিশ। তখনই খাদানের ঘর থেকে ২৪ জিলেটিন স্টিক, ২১ হাজার ডিটোনেটর ও ১৪ বস্তা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের খোঁজ পান পুলিশ আধিকারিকরা। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। শনিবার সকালে বম্ব স্কোয়াড এসে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও ডিটোনেটর উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।


রামপুরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবৈধ ভাবে মজুত বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলির মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, জিলেটিন স্টিক এবং ডিটোনেটর। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। পুলিশ বিস্ফোরক মজুত থাকা ওই পরিত্যক্ত খাদানের অফিসটি সিল করে দিয়েছে। অফিসটিকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। তবে কত পরিমান বিস্ফোরক মজুত আছে, তা এখনও গোনা হয়নি। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সাধারণত এই তিন ধরনের বিস্ফোরক পাথর খাদানে ব্যবহার করা হয়। নলহাটি থানার বাহাদুরপুর, লখনামারা, চন্দননগর সহ কিছু এলাকায় বেশ কয়েকটি পাথর খাদান আছে। এ ছাড়াও নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চল লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাখুড়িয়া ও রদিপুর থানা এলাকায় পাথর খাদান আছে। বিস্ফোরকগুলি খাদানে ব্যবহার করার জন্য মজুত ছিল, না কি অন্য কারণে রয়েছে এর পিছনে, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।














