পুরনো সংসদ ভবনে ঢুকে নস্টালজিক মমতা, VVPat-এর দাবিতে ধর্নার পরামর্শ দিগ্বিজয়কে

বহু কোটি ব্যয়ে ঝাঁ চকচকে নয়া সাংসদ ভবন করেছে সেন্ট্রাল ভিস্তা করেছে মোদি সরকার। কিন্তু পুরনো সংসদ ভবনের একটি আলাদা ঐতিহ্য আছে! বুধবার, পুরনো সংসদ ভবনে গিয়ে নস্টালজিক তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) সাংসদ দিগ্বিজয় সিংয়ের সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে VVPat-এর দাবিতে ধর্নার পরামর্শ।

সাত বারের সাংসদ, তিনবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মমতা এর পরে বলেন, “পুরনো সংসদ ভবনের একটি আলাদা ঐতিহ্য আছে। আমি অনেক বছর এখানে কাজ করেছি। আমার এই সংসদ ভবনই ভালো লাগে।“ রাজ্যসভার দুই নতুন সাংসদ সামিরুল ইসলাম এবং প্রকাশ চিক বারাইককে তিনি জিজ্ঞেস করেন, কেমন লাগছে, কী বুঝছো? এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করত সংসদ ভবনে যান তিনি। যান সেন্ট্রাল হলে। সেখানে উপস্থিত কেরালার সংসদদের সঙ্গে কথা বললেন মমতা।

তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদরা ভালো কাজ করছেন- সন্তোষ প্রকাশ কেন দলনেত্রী। দলের সাংসদদের সঙ্গে ঘরোয়া আলাপচারিতায় মমতা (Mamata Banerjee) নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দরবার করে আগামী লোকসভা ভোটে দেশের সব আসনে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট ব্যবহার ইস্যুতে কমিশনের কাছে দাবি জানাতে হবে।
শীতকালীন অধিবেশন শেষে দলীয় সাংসদদের নিজেদের এলাকায় গিয়ে জনসংযোগের কাছে মন দেবেন।

এদিন সংসদ ভবনে তৃণমূলের অফিসে মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তাঁকেও তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ইন্ডিয়া জোটের উচিত ভিভিপ্যাট ব্যবহারের দাবি জানানো। তাঁর এই বক্তব্যকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। মমতার কাছে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, বারবার সময় চাওয়ার পরেও জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁকে সাক্ষাতের সময় দিচ্ছে না। ফলে তিনি ভিভিপ্যাট সংক্রান্ত দাবি জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন না। সূত্রে খবর, দিগ্বিজয়-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের নির্বাচন কমিশনের সামনে ধর্নার পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই ইস্যুতে নিজের দলীয় সাংসদদেরও নির্বাচন কমিশনের সামনে ধর্নায় বসার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর প্রস্তাব নিয়ে দলে আলোচনা করবেন বলে মমতাকে জানান দিগ্বিজয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ফিরে আসার সময় মমতার সঙ্গে দেখা হয় দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি এবং অর্জুন রাম মেঘওয়ালের সঙ্গে। দুজনেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। হাত জোর করে নমস্কারও করেন। মমতাও সদলবলে হাঁটা থামিয়ে প্রতি নমস্কার করেন। এরপরেই মোদি সরকারের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর কাছে মমতার প্রশ্ন, কেমন চলছে আপনাদের সংসদীয় অধিবেশন? তৃণমূল সুপ্রিমোর এই বাউন্সারে প্রবল অস্বস্তিতে মোদি সরকারের দুই মন্ত্রী৷ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হওয়ায় লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষের ১৪৩ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার পরে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী আর বলতে পারেন? দুজনেই স্মিত হেসে বলেন, ঠিকঠাকই চলছে। এর পরেই প্রসঙ্গান্তরে চলে যান তাঁরা৷ মমতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে দেখিয়ে প্রহ্লাদ যোশী বলেন, দাদার থেকে আমরা কত কিছু শিখি৷ দাদা খুব অভিজ্ঞ লোক৷ তৃণমূল সুপ্রিমোও বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের দীর্ঘ সংসদীয় অভিজ্ঞতার উল্লেখ করেন। দেখা এবং সৌজন্য বিনিময় হয় বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিংয়ের সঙ্গেও। দেখা হয় সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চনের সঙ্গেও। তাঁর সঙ্গে আন্তরিক কুশল বিনিময় হয়।

Previous article“বোম্বাগড়ের রাজা”! যাদবপুরের সমাবর্তন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নি.শানায় রাজ্যপাল
Next articleটেটের প্যানেল প্রকাশ নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের