এক ম্যাচে পাঁচটি লাল কার্ড! চলতি ISL-এ প্রথম হার মোহনবাগানের

মোহনবাগান ১   মুম্বই সিটি ২

লাল কার্ডের ধাক্কায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম হার মোহনবাগানের। টুর্নামেন্ট যাই হোক, মুম্বই সিটি এফসিকে কখনও হারাতে পারেনি মোহনবাগান। এ বারও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল। মুম্বই সিটি এফসির ঘরের মাঠে সমতা ফেরালেও শেষ রক্ষা হল না মোহনবাগানের। ১-২ গোলে হার। ম্যাচ শেষে আরও তিনটি রেড কার্ড। সব মিলিয়ে সাতটি করে রেড ও হলুদ কার্ড। আইএসএলের ইতিহাসে এটিই সর্বাধিক। একটি ড্র থেকে গত ম্যাচে জয়ের রাস্তায় ফিরলেও এ বারের আইএসএলে প্রথম হার মোহনবাগানের। ৮ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগে তিন নম্বরেই মোহনবাগান। মুম্বই সমসংখ্যক পয়েন্টে চার নম্বরেই। কিন্তু এই ম্যাচে কার্ডের পর কার্ড দেখিয়ে খেলার ছন্দ নষ্ট করে খলনায়ক রেফারি রাহুল গুপ্ত। গোটা ম্যাচে পাঁচটি লাল কার্ড হল। সঙ্গে ১০টি হলুদ কার্ড।

মোহনবাগানের লাল কার্ড দেখেন আশিস রাই ও লিস্টন কোলাসো। মুম্বইয়ের দেখেন আকাশ মিশ্র, গ্রেগ স্টুয়ার্ট ও বিক্রমপ্রতাপ সিং। ১৩ মিনিট থেকে কার্ড দেখানো শুরু করেন রেফারি। থামেন ম্যাচের শেষেও। ১৩ মিনিটেই বড় ধাক্কা খায় মুম্বই। পিছন থেকে মনবীরকে খারাপ ট্যাকেল করেন মুম্বইয়ের লেফট ব্যাক আকাশ মিশ্র। রেফারি লাল কার্ড দেখান তাঁকে। প্রতিপক্ষ দশজন হয়ে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বাঁ-প্রান্ত থেকে দৌড়ে বক্সে ঢুকে ফাঁকায় বল বাড়ান কামিন্সকে। অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার গোল করতে ভুল করেননি। তবে ১০ জনেও দ্রুত ম্যাচে ফেরে মুম্বই। ফাইনাল থার্ডে বিপিন সিংয়ের অসাধারণ একটি সেন্টার থেকে জোরালো হেডে গোল করেন স্টুয়ার্ট। মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ বল আটকাতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রেফারি অতিরিক্ত কড়া হতে গিয়ে খেলার ছন্দ নষ্ট করে দেন। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের দুই ফুটবলার। পেরেরা দিয়াজকে ফাউল করে প্রথমে লাল কার্ড দেখেন আশিস রাই। মিনিট দুয়েক পর শুভাশিসের হলুদ কার্ডের বিরোধিতা করে রেফারির শরীর স্পর্শ করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লিস্টন। ফলে ৯ জনের মোহনবাগানকে বাকি সময় লড়াই করতে হয় ১০ জনের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে কামিন্স, বুমোস ও দীপক টাংরিকে তুলে দিমিত্রি পেত্রাতোস, কিয়ান নাসিরি ও আর্মান্দো সাদিকুকে নামিয়ে দেন মোহনবাগান কোচ। মনবীর, কিয়ানরা আক্রমণের পাশাপাশি নীচে নেমে রক্ষণও সামাল দেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ৭৩ মিনিটে শর্ট কর্নার থেকে বল পান বিপিন। তাঁর বাঁ-পায়ের শট অনিরুদ্ধ থাপার পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়িয়ে যায়। বক্সে অনেকটা এগিয়ে থাকা বাগান কিপারের পক্ষে বলের নাগাল পাওয়া সম্ভব ছিল না। মুম্বই এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।
রেফারির হাস্যকর রেফারিং অবশ্য চলতেই থাকল। ৮৮ মিনিটে মুম্বইয়ের স্টুয়ার্ট দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ লাল কার্ড দেখেন। অথচ, তাঁকে বক্সের মধ্যে অনিরুদ্ধ ফাউল করায় পেনাল্টি পেতে পারত মুম্বই। দিমিত্রি, কিয়ানরা শেষ লগ্নে গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন। ম্যাচ শেষে দু’দলের ফুটবলারদের ঝামেলায় পঞ্চম লাল কার্ড দেখেন মুম্বইয়ের বিক্রমপ্রতাপ সিং।

আরও পড়ুন- কৃষিপদ্ধতিকে এক নতুন দিশা দেখালো স্মার্ট – এগ্রিকালচার ২০২৩

 

Previous articleকৃষিপদ্ধতিকে এক নতুন দিশা দেখালো স্মার্ট – এগ্রিকালচার ২০২৩
Next articleনজর কাড়ল ২০২৩- এর তিলত্তমা সুন্দরী সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা