গীতাপাঠকে চ্যালেঞ্জ জানানো বৃথা, সংবিধানপাঠের আসর জমাতে পারল না কংগ্রেস

কংগ্রেসের এদিনের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য বা জাতীয় স্তরের নেতাদের মধ্যেও তেমন উন্মাদনা দেখা যায়নি

বিজেপির আয়োজনে গীতাপাঠের আসরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঘটা করে সংবিধান (Indian Constitution) পাঠের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। দুটো অনুষ্ঠানই ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হলেও গীতাপাঠের আসর থেকে নজর কাড়তেই পারল না কংগ্রেস (Congress) নেতাদের কর্মসূচি। এই কর্মসূচিই তুলে ধরল রাজ্যে তাদের জনসমর্থনের আসল ছবিটা।

রবিবাররের ব্রিগেডের গীতাপাঠের আসর নিয়ে অনেকদিন ধরে বাজার গরম করেছিল। তার পাল্টা প্রচারের ভাগ পেতে শুক্রবারই সংবিধান পাঠের ঘোষণা করে কংগ্রেস। এমনকি কংগ্রেসের কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জায়গাও বাছা হয় ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে বিড়লা তারামণ্ডলের সামনে। যাতে গীতাপাঠের আসর থেকে তাদের দিকে নজর ঘোরানো যায়। কিন্তু বাস্তব ছবিটা ঠিক তেমন হল না।

রবিবার বিড়লা তারামণ্ডলের (Birla Planetorium) সামনে গুটিকয়েক কর্মীদের নিয়ে প্রায় তিনঘণ্টার অনুষ্ঠান করে কংগ্রেস নেতারা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সংবিধান বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়। কংগ্রেসের এদিনের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য বা জাতীয় স্তরের নেতাদের মধ্যেও তেমন উন্মাদনা দেখা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও (social media) প্রচার হয়নি সেভাবে। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরার যে চেষ্টা রবিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করা হল, তাতে এরাজ্যে তাদের অবস্থান যে এখনও সেই তলানিতেই রয়ে গিয়েছে তা-ই স্পষ্ট হল। বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে তৃণমূলের জনসমর্থনকে চ্যালেঞ্জ জানানো যে এখনও তাদের পক্ষে সম্ভব না তারও একটা রিহার্সাল যেন রবিবার সংবিধান পাঠের আসর দেখিয়ে দিল।

Previous articleআজ রাষ্ট্রপতি ভবনে শাহরুখ খান অভিনীত ‘ডাঙ্কি’র বিশেষ প্রদর্শন!
Next articleআনন্দ বোস ‘কালীদাস’, কেন এই তী.ব্র ক.টাক্ষ ব্রাত্য বসুর!