উৎসবের মরসুমে শহরে অ.বৈধ মা.দকের রমরমা রুখতে ক.ড়া নজরদারি কলকাতা পুলিশের

উৎসবের মরসুমে মাদকের (Drugs) কারবার ও চোরাপথে শহরে মাদকের প্রবেশ আটকানোই চ্যালেঞ্জ। আর সেকারণেই শহর তথা গোটা রাজ্যে মাদকের বিক্রি রুখতে বর্ষশেষের উৎসবের আগে বিশেষ পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) নার্কোটিক্স বিভাগ এবং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর (NCB) কর্তাদের। উল্লেখ্য, বর্ষশেষের এই সময়ে শহরের একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁ ও একাধিক পানশালাগুলিতে লুকিয়ে মাদকের কারবার চালানোর অভিযোগ ওঠে। আর সেকারণেই মাদকের রমরমা রুখতে উৎসব শুরুর আগেভাগেই জোর তল্লাশি (Search Operation) কলকাতা পুলিশের। যে এলাকায় পানশালা বা রেস্তরাঁর সংখ্যা যত বেশি, সেখানকার থানাগুলিকে বাড়তি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফে প্রতিটি থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, মূলত বছর শেষ এবং নতুন বছর শুরুর এই সময়ে শহরের রেস্তরাঁ বা পানশালাগুলিতে ভিড় জমান কমবয়সিরা। আর সেই সব এলাকার জন্যই এবার অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে লালবাজার। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টিতে নজরদারির জন্য চারশোরও বেশি সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ চাইলে আলাদা ভাবে পার্টি বা ডিস্কোয় ঢুকে গোপনে নজরদারি চালাতে পারে বলে পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া লালবাজার সূত্রে খবর, কে বা কারা নিয়মিত পানশালা বা পার্টিগুলিতে আসছেন— সে দিকে কড়া নজর থাকবে পুলিশের। কলেজ পড়ুয়াদের একাংশের মধ্যে নিয়মিত মাদক সেবনের বিষয়টি নজরে এসেছে লালবাজারের। লালবাজারের এক পুলিশকর্তার জানিয়েছেন, গোপন তথ্য ও তল্লাশিই হল মাদক ধরার অন্যতম হাতিয়ার। হোটেল, পানশালাগুলির ফ্লোর থেকে শুরু করে শৌচালয়— সমস্ত জায়গাতেই তল্লাশি অভিযান চলবে। পাশাপাশি বিশেষ পরিকল্পনা থাকছে এনসিবি-র তরফেও।

 

 

 

Previous articleভাঁ.ওতাবাজিতে সায় নেই বাংলার, ফাঁ.কা ব্রিগেডে বিজেপির গীতাপাঠের অনুষ্ঠান সুপার ফ্লপ
Next articleপৌষমেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত মানুষ মেনে নেয়নি: ভার্চুয়াল উদ্বোধনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর