ভাঁ.ওতাবাজিতে সায় নেই বাংলার, ফাঁ.কা ব্রিগেডে বিজেপির গীতাপাঠের অনুষ্ঠান সুপার ফ্লপ

এদিন ফের প্রমাণ হয়ে গেল যে কেন শেষ মূহুর্তে রবিবারের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানও ফ্লপ শোতে পরিণত হল। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রেকর্ড জনসমাগম হবে বলে প্রচার করা হলেও, বাস্তবে রবিবারের ব্রিগেডে দেখা গেল অন্য ছবি।ব্রিগেড ভরা তো দূরঅস্ত, কার্যত ফাঁকা মাঠেই গীতাপাঠের অনুষ্ঠান করতে বাধ্য হল বিজেপি। শুধু তাই নয়, এদিন ফের প্রমাণ হয়ে গেল যে কেন শেষ মূহুর্তে রবিবারের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ব্রিগেড ভরবে না জেনেই প্রধানমন্ত্রী আসেননি।অনুপম হাজরা গীতাপাঠের অনুষ্ঠান নিয়েও টাকা নিয়ে দনবাজির অভিযোগ তুলেছেন। রাজনীতিতে না পেরে কখনও গীতাপাঠ, কখনও রামের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। কুণালের কটাক্ষ, আসলে এসবই লোক দেখানো নাটক।লক্ষাধিক নয়, গীতাপাঠে অংশ নিয়েছেন সাড়ে তিন হাজার মানুষ। ব্রিগেড কেন, শ্রদ্ধানন্দ পার্ক ভাড়া করলেই হয়ে যেত।

যদিও মানুষকে ধোঁকা দিতে শহর থেকে জেলা, মোদির বড় বড় কাট আউট দিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী আসার বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা হয়েছিল। সেই ধোঁকাবাজিও যে মানুষ ধরে ফেলেছে, এদিনের পাঁকা ব্রিগ্রেড তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ।এর থেকে অনেক বেশি ভিড় দেখা গিয়েছে চিড়ি্য়াখানা, ভিক্টোরিয়া, মিলেনিয়াম পার্ক, ইকো পার্ক, সায়েন্স সিটিতে।বছর শেষের উৎসবের আবহে বিজেপির গীতাপাঠের অনুষ্ঠান সুপার ফ্লপ।

বরং এই কর্মসূচির জেরে অনেক জায়গাতেই অসুবিধার সামনে পরেন টেট পরীক্ষার্থীরা। কেননা রবিবার রাজ্য জুড়ে টেট পরীক্ষা হয়।কিছু কিছু জায়গায় যানজটের জেরে অসুবিধায় পড়েন টেট পরীক্ষার্থীরা।যদিও কলকাতা পুলিশের তৎপরতায় নির্দিষ্ট সময়েই তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে সক্ষম হন।

এদিনের অনুষ্ঠানে লাল পাড় সাদা শাড়িতে দেখা গেল মহিলাদের এবং সাদা পাঞ্জাবিতে দেখা যায় পুরুষদের। ব্রিগেডে তৈরি ছিল দু’টি মঞ্চ।কিন্তু সেখানে শুধুই অন্য রাজ্য থেকে নিয়ে আসা সাধু সন্তরা বিরাজ করেছেন।

অবশ্য বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ড্যামেজ কন্ট্রোলে বলেছেন, রাজনৈতিক পরিবেশের কোনও বিষয় নেই। এটা একটা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতা এসেছেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য দয়ানন্দ সরস্বতী। রাজ্যেরে একাধিক বিজেপি বিধায়ক ও নেতানেত্রীদেরও ব্রিগেডে বসে গীতা পড়তে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। ফের বাংলা দেখল, ধোঁকাবাজি দিয়ে কেল্লাফতে করা যায়না। রবিবারের ফাঁকা ব্রিগেড তার সাক্ষী থাকল।

 

Previous articleগীতাপাঠের পক্ষে বলতে গিয়ে বিবেকানন্দের বাণী উদ্ধৃত করে এ কী বললেন সুকান্ত!
Next articleউৎসবের মরসুমে শহরে অ.বৈধ মা.দকের রমরমা রুখতে ক.ড়া নজরদারি কলকাতা পুলিশের