স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান! সুকান্তকে ধিক্কার জানিয়ে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তৃণমূলের

ব্রিগেডে BJP-র ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতপাঠ’র হয়ে সাফাই গাইতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দকে কার্যত বামপন্থী বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। সুকান্তকে ধিক্কার জানিয়ে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ ভৌমিক ও কুণাল ঘোষ।

মাঠের অর্ধেকও ভরল না। উল্টে যানজটে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ থেকে টেট পরীক্ষার্থীরা। আর সেই গীতপাঠের সপক্ষে বলতে গিয়ে কার্যত স্বামী বিবেকানন্দকেই ‘বামপন্থী প্রোডাক্ট‘ বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, “গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো” যারা বলছে তারা ‘বামপন্থী প্রোডাক্ট’। নিজেকে ডক্টরেট বলে দাবি করা অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার কি জানেন, এটা স্বামী বিবেকানন্দের বাণী। শুধু ধর্মগ্রন্থ পাঠ নয়, শরীরচর্চা, দলবদ্ধ খেলার মাধ্যমে জীবন গঠন করার কথা বলেছেন স্বামীজি। অথচ তাঁর বাণী মেনে চলাকে বামপন্থী প্রোডাক্ট বলার অর্থ কি বিবেকানন্দকেই বামপন্থী বলা নয়! তাঁর বাণীতে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে অপমান নয়!

সুকান্ত এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান তৃণমূল নেতৃত্ব। মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhoumik) বলেন, আসলে ইতিহাসের অআকখ জানে না। এইরকম অশিক্ষিতরা রাজনীতির আঙিনায় এসে এই ধরনের উক্তি করে প্রকৃত হিন্দু ধর্মের যিনি প্রচারক সেই স্বামী বিবেকানন্দকে অসম্মান করেছেন। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের “যতমত ততপথ”কে অপমান করেছেন। বাংলার মানুষে এঁর প্রতিবাদ করবেন।

আরও পড়ুন:ক্ষমতায় এসেই ২ হাজার কোটি টাকা ঋ.ণ চাইল মধ্যপ্রদেশ সরকার! ক.টাক্ষ তৃণমূলের

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) তোপ দেগে বলেন, বাংলার মণীষীদের বরাবর অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের। বাংলার মণীষীদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা, ভালবাসা তাঁদের নেই । সুকান্ত মজুমদার যেভাবে অপমান করলেন বাংলার মানুষে তা মেনে নেবে না। এই মন্তব্যকে ধিক্কার জানিয়ে সুকান্তকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান চন্দ্রিমা।

 

মন্ত্রী শশী পাঁজার (Shashi Panja) কথায়, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে গীতপাঠ ও ফুটবল খেলার উদাহরণ দিয়েছিলেন স্বামীজি। কিন্তু এই সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপি নেতারা বাংলার মণীষীদের অপমান করেন। অল্প শিক্ষিত নেতারা এর আগে রবীন্দ্রনাথ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সবার সম্পর্কে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছেন। সুকান্তকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানান শশী।

 

তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কথায়, কার্যত স্বামী বিবেকনন্দকে অপমান করেছেন সুকান্ত মজুমদার। গীতার সারমর্ম বোঝার ক্ষমতা সুকান্তর নেই বলে কটাক্ষ করেন কুণাল।

Previous articleবি.স্ফোরক মন্তব্য করে বি.তর্কে DMK সাংসদ! ‘দু.র্ভাগ্যজনক’ দাবি বিজেপির
Next articleবড়দিনে বড় বদল মেট্রো সূচিতে! ভিড় সামলাতে পাতালরেলে বিশেষ ব্যবস্থা