আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯৫১

লিবিয়া এদিন স্বাধীনতা লাভ করে। লিবিয়া ছিল ইতালির কলোনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সম্মুখভাগে থাকা সেনুসি আন্দোলনের আমির মোহাম্মদ ইদ্রিস ব্রিটিশদের পক্ষে অবস্থান নেন এই আশায় যে, ইতালিয়ানরা পরাজিত হলে লিবিয়া স্বাধীনতা কিংবা নিদেনপক্ষে স্বায়ত্তশাসন লাভ করবে। কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শেষে ইউরোপিয়ানরা লিবিয়াকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু লিবিয়া জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এবং আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কিছু আরব রাষ্ট্র এর বিরোধিতা করলে তা বাতিল হয়ে যায়। কথা ছিল তিনটি ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশকে একত্রিত করে লিবিয়ান রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এর রাজা হবেন সাইরেনাইকা ইমারাতের আমির, ইদ্রিস আস-সেনুসি। অবশেষে নির্ধারিত তারিখের আগেই ১৯৫১ সালের ২৪ ডিসেম্বর, রাজা ইদ্রিস তাঁর বেনগাজির মানারা প্যালেস থেকে লিবিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জন্মলাভ করে এক কৃত্রিম রাষ্ট্র ‘ইউনাইটেড কিংডম অফ লিবিয়া’। কৃত্রিম এই কারণে, এর আগে কখনওই লিবিয়া নামে কোনও রাষ্ট্র ছিল না। ইতালিয়ান আমলের শেষের দিকের কয়েক বছর ছাড়া লিবিয়ার তিনটা প্রদেশ কখনওই একক প্রশাসনের অধীনে ছিল না।

২০১৮ (১৯২৭ – ২০১৮)

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় এদিন প্রয়াত হন। বাংলা গানের জগতে এক চলমান ইতিহাস তাঁর অভিযাত্রা শেষ করলেন। পঁচাত্তর বছরের সঙ্গীতজীবনে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় সেই মান্যতা অর্জন করেছিলেন। তাঁর প্রয়াণ তাই একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি বলে গণ্য হতে পারে। রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং বাংলা আধুনিক গান, দুই ধারাতেই সাবলীল বিচরণ শ্রোতৃমণ্ডলীর কাছে তাঁর পরিচিতির পথ প্রশস্ত করেছিল। তিনি সাধ্যমতো সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন। সূচনাপর্বে পঙ্কজকুমার মল্লিক ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি হিসাবে নিজেকে তুলে ধরতে যত্নবান ছিলেন তিনি। বস্তুত বাংলা গানে ভারী, পুরুষালি কণ্ঠের তেমন প্রাচুর্য তখন ছিল না। হেমন্ত-উত্তর শিল্পীদের দলে বেশ কিছুটা জুড়ে সেই ফাঁক দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ভরাট করেছেন।

১৮৯০

ডাঃ রফিউদ্দিন আহমেদ (১৮৯০ – ১৯৬৫) এদিন ঢাকার নবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত দন্তচিকিৎসক, শিক্ষাব্রতী ও পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তথা ভারতের প্রথম ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা। কলকাতার এই হাসপাতালটি তাঁরই নামে নামাঙ্কিত। দন্তচিকিৎসার প্রসারের জন্য রফিউদ্দিন কলকাতায় তাঁর মৌলালির বাড়ি এবং সংলগ্ন জমি সরকারকে দান করেছিলেন। ভারতবর্ষে আধুনিক দন্তচিকিৎসার জনক ডাক্তার রফিউদ্দিন আহমেদকে তাঁর পেশাগত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৪ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি দেয়। ১৯৬৫ সালে কর্মবীর এই মানুষটির মৃত্যু হয়। ভারতীয় দন্তচিকিৎসার ইতিহাসে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা স্মরণে রেখে তাঁর জন্মদিন ২৪ ডিসেম্বর তারিখটিকে ‘ন্যাশনাল ডেন্টিস্ট ডে’ হিসেবে পালন করা হয়।

১৫২৪

ভাস্কো দা গামা এদিন প্রয়াত হন। পর্তুগিজ নাবিক, পঞ্চদশ শতাব্দীতে তিনি জাহাজযোগে সমুদ্রপথে ভারত আসেন। ৮ জুলাই ১৪৯৭-তে চারটি সামুদ্রিক জাহাজে ১৭০ জন মানুষ নিয়ে পর্তুগালের সমুদ্রতট থেকে সমুদ্রপথে ভারত নামক দেশ খোঁজার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সমুদ্রপথে দশ মাস জাহাজে ভাসার পরে, ২০ মে, ১৪৯৮-তে তিনি কেরলের কালিকটে পৌঁছন।

১৯২৪ মহম্মদ রফি

(১৯২৪–১৯৮০) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। আসল নাম ছিল কোতিয়া সুলতান সিং। কাওয়ালি থেকে ভজন, গজল থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, সুরের বলয়ে প্রতিটি ক্ষেত্র সাক্ষী থেকেছে তাঁর অনবদ্য প্রতিভার। ভারত সরকার দিয়েছে ‘পদ্মশ্রী’। পেয়েছেন ‘সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ গায়কে’র সম্মান। তাঁর গাওয়া ‘খোওয়া খোওয়া চাঁদ’, ‘আভি না যাও ছোড়কর’, ‘চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিল কো’ প্রভৃতি গান আজও মন ছুঁয়ে যায়।

 

 

 

Previous articleফের বঙ্গোপসাগরে নয়া ঘূর্ণাবর্ত! বড়দিনের আগেই বাংলা থেকে উধাও শীত
Next articleঘন কুয়াশার জের! সাময়িকভাবে বন্ধ বিমান চলাচল, কলকাতা এয়ারপোর্টে উ.দ্বেগে যাত্রীরা