পাহাড় থেকে সমতল ক্রিসমাসের আনন্দে মাতোয়ারা বাংলা

কলকাতা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রগুলি যেমন বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া অন্যদিকে দিঘা কিংবা জয়পুর সর্বত্রই খুশির জোয়ার।

বিষ্ণুপুর থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে পার্ক স্ট্রিট- রাজ্যজুড়ে বড়দিনের (Christmas Celebration) মেজাজে মেতেছে বঙ্গবাসী। ২৫ ডিসেম্বর মানেই পিকনিকের আনন্দে সারাদিন হৈ হুল্লোড় আর শিশুদের নিয়ে এখানে ওখানে ঘুরতে যাওয়া। বছর শেষের এই আনন্দ ২০২৩-এও ভরপুর উপভোগ করছেন সাধারন মানুষ। গতকাল রাত থেকে পার্কস্ট্রিটের (Park Street) ভিড় নজর কেড়েছে। সকালে আলোর মেলা না থাকলেও ভিড় বাড়ছে বো ব্যারাক চত্বরে। ভারতীয় জাদুঘর বন্ধ থাকায় ধর্মতলায় বিশেষ করে নিউমার্কেট চত্বর, ময়দান রবীন্দ্রসদন চত্বর সকাল থেকেই কেক, পেস্ট্রি আর স্যান্টাক্লজের টুপির বাহারে গমগম করছে। শ্রীরামপুর থেকে সিউড়ি, পর্তুগিজ চার্জ থেকে ক্যাথিড্রাল চার্জ সর্বত্রই সকালের প্রার্থনায় সামিল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

পাহাড় থেকে সমতল ক্রিসমাসের আনন্দে উন্মাদনার ছবি গোটা বাংলা জুড়ে। চিড়িয়াখানা এবং নিক্কো পার্ক চত্বরে সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টারের বাইরে লম্বা লাইন। ক্যাথিড্রাল চার্চে ক্রিসমাস ক্যারল দেখতে অনেকেই ভিড় জমান যদিও আজকে গির্জায় প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম বলবৎ থাকছে। আজ ব্যান্ডেল চার্চ সারাদিন বন্ধ থাকবে। হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের চার্চে এলাকার মানুষ বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন সকালে। কলকাতা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রগুলি যেমন বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া অন্যদিকে দিঘা কিংবা জয়পুর সর্বত্রই খুশির জোয়ার। দার্জিলিং এর ক্রিসমাস সেলিব্রেশানের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। কোথাও বাসে করে বেড়াতে যাওয়ার ঢল কোথাও আবার বাইক নিয়ে প্রিয় মানুষের সঙ্গে হাইওয়ে দিয়ে ছুটে যাওয়া। লাল টুপি আর লাল জামায় প্রতি অলিগলিতেই স্যান্টাদের দেখা মিলছে। এক বছরের চাওয়া পাওয়ার হিসেব ভুলে বর্ষবরণের দিকে যত এগিয়ে যাচ্ছে সময়, ততই আনন্দের পারদ ঊর্ধ্বমুখী।

Previous articleপ্রয়াত প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা মাতাজি
Next articleবড়দিনে মিলল স্বস্তি! ফ্রান্সে আ.টক ভারতীয়দের নিয়ে ওড়ার অনুমতি পেল বিমান, গন্তব্য নিয়ে ধোঁ.য়াশা