পাকিস্তানের নির্বাচনেও জ.ঙ্গি মদত, লড়বেন মুম্বই হা.মলার মূলচক্রী সপুত্র হাফিজ সঈদ!

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদতদাতা, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। এর ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসলামাবাদকে বিপাকে পড়তে হতে পারে।

পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে লড়বে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সঈদের দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’ (পিএমএমএল)। জানা গিয়েছে, হাফিজের ছেলে তলহা সঈদও ভোটে অংশ নেবেন।পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত কিছু দিন আগেই সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ হাফিজকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ এবং তাঁর সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়াকে ‘জঙ্গিগোষ্ঠী’ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে হাফিজের দলের ভোটে লড়ার উদ্যোগকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না কেউই।প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদতদাতা, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। এর ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসলামাবাদকে বিপাকে পড়তে হতে পারে।

পিএমএমএল সভাপতি খালিদ মাসুদ একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তার দল বেশিরভাগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই দুর্নীতির জন্য নয়, জনগণের সেবা করতে এবং পাকিস্তানকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। সিন্ধু এনএ-১৩০ লাহোর থেকে একজন প্রার্থী, যেখান থেকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ সুপ্রিমো এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আমেরিকা হাফিজের ‘মাথার দাম’ এক কোটি ডলার ঘোষণা করেছে। তিনি এখন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর গোপন ডেরায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রের দাবি। জানা গিয়েছে, পাক পাঞ্জাব প্রদেশের আইনসভায় ভোটে লাহোরের একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হাফিজ-পুত্র তলহা। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও ভোট। ৪৭ বছরের তলহাও লস্করের সামাজিক সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার নেতা ছিলেন। জামাত নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ‘মিল্লি মুসলিম লিগ’ নামে একটি কট্টরপন্থী সংগঠনের নামে কাজ করেন তলহা এবং তাঁর অনুগামীরা।

লাহোরের বাসিন্দা হাফিজ-পুত্রও ২৬/১১-র ঘটনায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। ভারত-বিরোধী বিভিন্ন প্রচার এবং কাশ্মীরের লড়াইয়ের জন্য অর্থসংগ্রহ কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতে দেখা যায় তাঁকে। আফগানিস্তানের ভারতীয় ঠিকানাগুলিতে হামলা চালানোর জন্য পাক-আফগান সীমান্তে তলহা জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ ভারতের।
কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, রাজা পারভেজ আশরাফ এবং শাহবাজ শরিফসহ অনেক বিশিষ্ট নেতা ইতিমধ্যে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ইমরান খান লাহোর এবং তার জন্মস্থান মিয়ানওয়ালির দুটি নির্বাচনী এলাকা থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, কিন্তু তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ছাড়পত্র পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এবার পিএমএল-এন ছাড়াও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জামাত-ই-ইসলামী (জেআই) এবং অন্যান্য স্থানীয় দল নির্বাচনী মাঠে রয়েছে।

Previous articleAssam: বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে পুড়িয়ে মারা হল আদিবাসী মহিলাকে!
Next article২০২৪ আইপিএল শুরুর আগেই বিপত্তি কেকেআর শিবিরে, আসন্ন IPL-এ নাও পাওয়া যেতে পারে এই ক্রিকেটারকে