ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করা হলেও। এই নাম প্রস্তাবে একেবারেই খুশি নন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি জানালেন, জরুরি অবস্থার পর ১৯৭৭ সালের লোকসভা নির্বাচনেও কোনও প্রধানমন্ত্রী মুখ ছিল না। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বিরোধীদের তরফে কোনও প্রধানমন্ত্রী মুখ না থাকলেও অসুবিধা হবে না বলেই মনে করেন তিনি।

মুম্বইয়ে এক বৈঠকে বিরোধী জোট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ার অতীত স্মরণ করিয়ে বলেন, “১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনেও ছিল না কোনও প্রধানমন্ত্রী মুখ। ভোটের পর মোরারজি দেশাইকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তাই পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে সামনে না রাখলেও অসুবিধা হবে না বলেই আমার মনে হয়।” পাশাপাশি শরদ পাওয়ার আরও বলেন, “মানুষ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, তাহলে পরিবর্তন আসবেই।” অর্থাৎ পাওয়ারের মন্তব্যে এটা একেবারেই স্পষ্ট যে তিনি চান না কাউকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করে লড়ুক ‘ইন্ডিয়া’।
গত ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে প্রস্তাব ওঠে খাড়গেকে প্রধানমন্ত্রী মুখ করার। এই প্রস্তাব সমর্থন করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে একাধিক বিরোধী দল এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো অখুশি হন, তার মধ্যে অন্যতম জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। যদিও খাড়গে নিজেও জানিয়ে দেন এখনও প্রধানমন্ত্রী মুখ নিয়ে ভাবার কিছু হয়নি। আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই বিরোধি জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ নিয়ে মুখ খুললেন শরদ পাওয়ার। স্পষ্ট বার্তা দিলেন, প্রধানমন্ত্রী মুখ ছড়াই লোকসভা নির্বাচন লড়ার পক্ষে তিনি।
