ধর্মীয় বিশ্বাসের রাজনীতিকরণ চলছে: রামমন্দির উদ্বোধনে যাবেন না ইয়েচুরি

সাধারণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতিকরণ চলছে। সেটাও আবার রাষ্ট্রের মদতে। ফলস্বরূপ এই ধরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বলে মঙ্গলবার স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। ফলে কপিল সিবালের পর এই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার তালিকায় যোগ হল আরও একটি নাম। অবশ্য কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরীকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁরা যাবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার ওই অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার কথা কথা জানিয়ে ইয়েচুরি বলেন, “আমি এখনও এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলিনি। নৃপেন্দ্র মিশ্র এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁরা আমার হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। ধর্মে বিশ্বাস যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা তা সম্মান করি। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের নিজেদের ইচ্ছেমতো ধর্মীয় আচরণ পালন করার অধিকার রয়েছে দেশে। তবে সংবিধান অনুযায়ী এ দেশ কোনও নির্দিষ্ট ধর্মকে চিহ্নিত করে না। রিলিজিয়াস স্টেটের মর্যাদা পায় না ভারত। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে। জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে সোজাসাপটা রাজনীতি করা হচ্ছে। যা ভারতের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকেও রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কপিল সিবল জানিয়েছেন, রাম তাঁদের মনে রয়েছে। সেটিকে শো অফ করার জন্য রাম মন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার কোনও প্রয়োজন পড়বে না কংগ্রেসের। তবে সোনিয়া গান্ধী উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি মেলেনি। যদিও আমন্ত্রণের তালিকায় নেই রাহুল গান্ধী।

Previous article১০ ঘণ্টার লড়াই, বাঘিনী আতঙ্কমুক্ত হল পিলিভিট
Next articleরাজ্যের ৪ লাখ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নীতীশ সরকারের