আবু ধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করবেন মোদি, কটাক্ষ থারুরের

এই নকশার আসল লক্ষ্য হল বিদেশের মাটিতে ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তাকে বিশ্বের সামনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

সৌদি আরবের আবু ধাবিতে প্রথম হিন্দু মন্দির তৈরি হচ্ছে। মুসলিম প্রধান এই দেশে বিশালাকার এই মন্দির নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। আবু ধাবিতে ৫৫ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে হিন্দু মন্দির। ভারতীয় মন্দিরের আদলেই তৈরি করা হয়েছে এই মন্দির। মধ্য প্রাচ্যে এটিই প্রথম হিন্দু মন্দির।আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবু ধাবিতে গিয়ে মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করবেন।ইতিমধ্যেই তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা গ্রহণ করেছেন মোদি।আবু ধাবির মন্দিরের উদ্বোধন হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার
আগে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করবেন তিনি।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের কটাক্ষ, ২০০৯ সাল থেকে বিজেপি নরেন্দ্র মোদিকে বিকাশ পুরুষ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। সেসময় গুজরাটের উন্নয়ন মডেলের মুখ ছিলেন মোদি। ২০১৯ সালে নোট বাতিলের পর সেই ধারণা ভেঙে পড়ায় পুলওয়ামা হামলাকে হাতিয়ার করে প্রতিরক্ষার মানে ভোট করিয়েছেন মোদি। এবার ২০২৪ সালে এসে এটা স্পষ্ট যে মোদি নিজের পুরনো অস্ত্রে ব্যবহার করতে চলেছেন। হিন্দু হৃদয় সম্রাট হতে চলেছেন।

জানা গিয়েছে, আবুধাবিতে স্বামীনারায়ণ মন্দিরটি পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম মন্দির এটি। ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মন্দিরটি। মন্দিরে অপূর্ব কারুকার্য খোদাই করা থাকছে। গোলাপী বেলে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে মন্দির তৈরিতে।২০১৮ সালে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বিষয়টি নিয়ে টুইটও করেছিলেন জয়শঙ্কর। মন্দিরের নকশায় সাতটি স্ফিয়ার একত্রিত হবে। প্রতিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতীক। এই নকশার আসল লক্ষ্য হল বিদেশের মাটিতে ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তাকে বিশ্বের সামনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।

মন্দিরে তৈরি করা শিল্পকর্মগুলি রামায়ণ, মহাভারত এবং ভারতীয় মহাকাব্য সম্পর্কিত ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এছাড়া এই মন্দিরে উটের শিল্পকর্ম অন্তর্ভুক্ত করে আরব দেশের ছোঁয়াও দেওয়া হয়েছে। সাত চূড়া বিশিষ্ট এই মন্দিরের কমপ্লেক্সে একটি দর্শনার্থী কেন্দ্র, প্রার্থনা হল, লাইব্রেরি ক্লাসরুম, কমিউনিটি সেন্টার, মজিলিস, অ্যাম্ফিথিয়েটার, খেলার মাঠ, বাগান, বই এবং উপহারের দোকান এবং ফুড কোর্ট থাকবে। এই মন্দির নির্মাণে কোনও ইস্পাত বা কংক্রিট ব্যবহার করা হচ্ছে না।