ধর্ষণ থেকে গোপনাঙ্গে গুলি! হামাসের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল মহিলারাই

তাঁদেরই বয়ানে উঠে আসছে হামাসের অত্যাচার কীভাবে মূলত পশুর মতো মৃত্যু দিকে ঠেলে দিয়েছিল মহিলাদের

৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাস জঙ্গিদের আক্রমণের পর নৃশংসতার প্রমাণ হিসাবে একটা ছবিই যথেষ্ট ছিল। গাড়ির ডিকিতে অর্ধনগ্ন মহিলার গুলিবিদ্ধ, দুমড়ানো পা সহ দেহ, যার পরিচয় পাওয়ার জন্য মুখটাও অবশিষ্ট ছিল না। জ্বালিয়ে দিয়েছিল হামাস (Hamas) জঙ্গিরা। গাজার প্রায় একশো শতাংশ দখল নেওয়ার পর উদ্ধার করা হচ্ছে বহু ইজরায়েলি পণবন্দিকে (hostage)। আর তাদের বয়ান থেকেই পাওয়া যাচ্ছে, সেই একটা দিনে ওই একই নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল কয়েক ডজন মহিলাকে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে মহিলাকে দেখা গিয়েছিল তিনি ছিলেন মধ্য ইজরায়েলের সাধারণ পরিবারের সদস্যা, দুই সন্তানের মা গল আব্দুসের। সম্প্রতি গাজা এলাকা হামাস দখলমুক্ত হওয়া শুরু হয়েছে। ঘরে ফিরতে শুরু করেছে ইজরায়েলি পণবন্দিরা। সামনে আসতে শুরু করেছেন হামাস হামলার পর বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে মানুষের সেবা করা ডাক্তার, স্বেচ্ছাসেবক (volunteer medics), ইজরায়েলি সেনা জওয়ানরা। আর তাঁদেরই বয়ানে উঠে আসছে হামাসের অত্যাচার কীভাবে মূলত পশুর মতো মৃত্যু দিকে ঠেলে দিয়েছিল মহিলাদের।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ছিন্নভিন্ন হয়ে থাকা প্রায় ৪০টি দেহ একই এলাকায় পাওয়া গিয়েছিল। সেই দেহগুলির এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যাতে চেনা সম্ভব হচ্ছিল না। অথবা চেনা গেলেও ক্ষতবিক্ষত শরীরের দিকে তাকানোর উপায় ছিল না। প্রতিটি মৃতা মহিলার দেহেই যৌন নির্যাতনের (sexual violence) ছাপ ছিল স্পষ্ট। গাজার কাছে উদ্ধার দুই মহিলা পুলিশকর্মীকে হামাস জঙ্গিরা খুন করেছিল গোপনাঙ্গে গুলি করে। চোখের সামনে অন্য মহিলাদের ওপর অত্যাচার হওয়া দেখেও লুকিয়ে থাকতে হয়েছে অনেককে। এমনকি শরীরে গুলি লাগার পরও নিঃশব্দে লুকিয়ে ছিলেন এক মহিলা, হামাস খুন, ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য।

ইজরায়েলের ওপর আতর্কিত হামলার ঘটনার পর মহিলাদের ওপর হামাসের যৌন নির্যাতনের কথা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাস যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু মুক্তি পাওয়া পণবন্দি ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়া স্বেচ্ছাসেবকদের বক্তব্য কিন্তু পুরোপুরি উল্টো ছবি তুলে ধরে।

Previous articleকংগ্রেসের ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে, ৮৫ জেলা পেরোবেন রাহুল
Next articleপ্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের জন্য টাকা পাঠাল ভারত!