কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে আদালতে হাজির হলেন না বিচারপতি সিনহার স্বামী

প্রতাপের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে চেয়েছিল সিআইডি। তারা আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদন মেনে মঙ্গলবার বিধাননগরের এসিজেএম আদালতে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের কথা ছিল।

কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির হলেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দিক থেকে সওয়াল না শুনেই প্রতাপচন্দ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের রায় দেওয়া হয়েছিল। তাই তিনি কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে রাজি নন। এই নিয়ে শুনানি শেষ হলেও রায় স্থগিত রেখেছে এসিজেএম আদালত।
প্রতাপের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে চেয়েছিল সিআইডি। তারা আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদন মেনে মঙ্গলবার বিধাননগরের এসিজেএম আদালতে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের কথা ছিল। সেই মতো তাঁকে নোটিশও পাঠানো হয়। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির শীর্ষ আধিকারিক। যদিও প্রতাপ আদালতে উপস্থিত হননি।

এরপরেই আইনজীবী তাপস মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে বিধাননগরের আদালতে একটি লিখিত ‘পিটিশন’ জমা করেন তিনি। সেখানে জানান, তাঁর তরফে সওয়াল না শুনেই একতরফা ভাবে কণ্ঠস্বর সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কণ্ঠস্বরের নমুনা তিনি দেবেন না।এর আগে বিচারপতির স্বামীকে ফোন জমা করতে বলেছিল সিআইডি। তিনি ফোন জমা করেননি।এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন প্রতাপ। তিনি জানিয়েছিলেন, একটি মামলার সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে রাজ্যের সিআইডি তাঁকে মানসিক নিগ্রহ করেছে। তাঁর বিচারপতি স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান লেখানোর জন্য চাপ দিয়েছে। তারও আগে সিআইডির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রতাপ।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছিল বিচারপতি সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্রের বিরুদ্ধে। ৬৪ বছরের এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলার সূত্রে গত ১ ডিসেম্বর বিচারপতির স্বামীকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিআইডির সদর দফতর ভবানী ভবনে দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব হয়েছিল গত ২২ ডিসেম্বর।
সিআইডি সূত্রে খবর, যে মামলায় বিচারপতির স্বামীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, সেটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন বিচারপতির স্বামী, যিনি পেশায় আইনজীবী। ৬৪ বছরের এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে গত ১ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ।

 

Previous articleনির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটিতে থাকুন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের
Next articleরবিতে DYFI-এর ব্রিগেড সমাবেশ, ভোট কোথায়? প্রশ্ন তুলে তীব্র খোঁচা কুণালের