রামনগরের কর্মী সম্মেলনে গদ্দার অধিকারীদের ধুয়ে দিলেন কুণাল

রামনগরের আরএস ময়দানের কর্মী সম্মেলনের মঞ্চ থেকে গদ্দার অধিকারীদের ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।এদিন কুণাল বলেন,লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি আসনে নিশ্চিতভাবে হারবে গদ্দার অধিকারীরা। বুধবার রামনগরে উপচে পড়া বুথকর্মী সম্মেলনে তৃণমূল মুখপাত্র দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের কাজ, প্রকল্প ও সাফল্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।বেকারত্ব বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধি চরম আকার নিয়েছে। পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার মানুষকে সব দিচ্ছে। রাস্তা, জল, বিদ্যুৎ, বিনামূল্যে চিকিৎসা, শিক্ষা, কনাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, বার্ধক্যভাতা সব। এবার আপনারা ঠিক করুন কাকে ভোট দেবেন!
এদিনস পের তাঁর কটাক্ষ, শিশির অধিকারী জীবনে একবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পেরেছিলেন ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদন্যতায়। আর জীবনে কোনও দিন হতে পারেননি। আর সেই লোকটি নেত্রীর পিঠে ছুরি মেরেছে। এরকম বেইমান, বিশ্বাসঘাতক খুব কম দেখা যায়। তার ছেলে শুভেন্দু (গদ্দার, দলবদলু) সব পেয়েছে তৃণমূলের থেকে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের চোখ দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরকে দেখেছেন। এক ভাই দিব্যেন্দু সাংসদ, সৌমেন্দু চেয়ারম্যান। শুভেন্দু সাংসদ। সঙ্গে জেলায় দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা। পরে আবার একাধিক দফতরের মন্ত্রী। সব অধিকারী পরিবারের। তার বাইরে কেউ কিছু পায়নি। যতদিন না পর্যন্ত শুভেন্দু সারদা-নারদাতে ফেঁসেছে, ততদিন পর্যন্ত ওর ট্যাঁ-ফোঁও শোনেননি। গোটা জেলায় যা খুশি তাই করেছে। এরকম অকৃতজ্ঞ, চোর, বেইমান, গদ্দার, চিটিংবাজ, মিরজাফর এদের আর কোনও ভোট নেই।

কুণালের তোপ, গদ্দার হঠাৎ হিন্দু সেজেছে। মাথায় তিলক কেটে সনাতনি ধর্ম বলছে আর কীর্তনে গিয়ে লাফাচ্ছে।আগে ঘুরে ঘুরে হেরেছে। আবার হারবে। ও ব্যক্তি রাজনীতি করছে। কাঁথি লোকসভা তৃণমূলের ছিল, আছে, থাকবে। আগামী দিনে বাংলার উন্নয়নকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে উন্নততর তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার মানুষের জন্য কাজ করবে। ২০২৪-এ দিল্লিতে নতুন সরকার হবে। যার কেন্দ্রে থাকবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা সভাপতি পীস পন্ডা, সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান আনোয়ারউদ্দিন, জেলা আইএনটিটিউইসির চেয়ারম্যান বিকাশ বেজ-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

Previous articleদমদম সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট, প্রতিবছরের মতো রয়েছে বিশেষ চমক
Next articleবাবার বিয়ের মঞ্চে সঙ্গী পেল ছেলে! বলিউডে নতুন প্রেম কাহিনী?