নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত বি.শৃঙ্খলা! পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে বি.স্ফোরক নির্দেশ শিন্ডের মন্ত্রীর

নিজের জন্মদিন (Birthday) উপলক্ষ্যেই ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলার সিল্লোদে নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রী আব্দুল সাত্তার (Abdul Sattar)।অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করছিলেন লোকনৃত্য শিল্পী গৌতমী পাটিল (Gautami Patil)। কিন্তু, নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেই এবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন শিন্ডে শিবির (Eknath Shinde) ঘনিষ্ঠ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। তাঁর সেই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন ঘটনায় বেশ বেকায়দায় মন্ত্রী আব্দুল সাত্তার।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু ও মার্কেটিং মন্ত্রী আব্দুল সাত্তারে জন্মদিন উপলক্ষ্যে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলার সিল্লোড় শহরে এক বিশেষ নাচের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান শিল্পী ছিলেন গৌতমী পাটিল। কয়েক হাজার দর্শকের জমায়েত হয়েছিল সেই অনুষ্ঠানে এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সাত্তারও। তবে অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকাই কয়েকজন যুবকের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনাতেই ক্ষুব্ধ আব্দুল পাটিল বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে।  এদিন অনুষ্ঠানে উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে লাঠিচার্জের নির্দেশ দিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, আগত শ্রোতাদের লাঠি দিয়ে মেরে পিঠ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর সদস্য আব্দুল সাত্তার প্রথমে উত্তেজিত যুবকদের শান্ত হওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু, তারপরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এরপর মঞ্চে উঠে মন্ত্রী ওই যুবকদের মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশকে। এছাড়া ওই যুবকদের বংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে অশ্লীল মন্তব্য করেন আব্দুল সাত্তার।

এদিকে লোক নৃত্যশিল্পী গৌতমী পাটিল পুলিশকে জানান, ওই মন্ত্রী জনতাকে সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করতে এবং এত খারাপভাবে মারতে নির্দেশ দেন যাতে তাদের পিঠের হাড় ভেঙে যায়। তবে ঘটনায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কাছে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী সাত্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সামনে বসা কয়েকজন যুবক হট্টগোল ও হাতাহাতি শুরু করলে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হয়। অনুষ্ঠান থেমে গেলেই মাইক্রোফোন নিয়ে সরাসরি মঞ্চে পৌঁছে যান আবদুল সাত্তার। তিনি পুলিশকে যুবকদের উপর লাঠিচার্জ করতে এবং তাদের পিঠের হাড় ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত মারতে নির্দেশ দেন। তারপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

 

 

 

 

Previous articleনতুন বছরের শুরুতেই আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের সুখবর শোনালেন শিক্ষামন্ত্রী
Next articleফের মোদিরাজ্যে প্রশ্নের মুখে নারী নি.রাপত্তা! ধ.র্ষণ থেকে বাঁচতে লরি থেকেই ম.রণঝাঁপ ৬ স্কুল ছাত্রীর