রাজ্যকে জানিয়ে এলে এই পরিস্থিতির সামনে পড়তে হত না ইডিকে: শশী পাঁজা

সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে আক্রান্ত হন ৫ ইডি আধিকারিক।

সকাল থেকে সন্দেশখালির ঘটনায় তপ্ত বঙ্গ-রাজনীতি। অভিযোগ, এদিন রেশন মামলার তদন্তে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা, মার খান কেন্দ্রীয় জওয়ান।এমনকী আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম, রেহাই পেল না কেউই।রীতিমতো মারতে মারতে এলাকা ছাড়া করা হয় ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে আক্রান্ত হন ৫ ইডি আধিকারিক।যদিও এই পরিস্থিতির জন্য ইডিকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্যকে জানিয়ে এলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি ধর্মের রাজনীতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।নীচ সঙ্কীর্ণ রাজনীতির জন্যই আজ এই পরিস্থিতি।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছি। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে শায়েস্তা করে ছাড়ব।

রাজ্যের মন্ত্রীর পাল্টা যুক্তি, ‘বাংলাকে ধমকে-চমকে লাভ নেই।’ একুশের বিধানসভা ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি আরও বললেন, ‘সেন্ট্রাল ফোর্স আসবে, নির্বাচন সে ভাবে হবে। তাই তো হয়েছিল। ২০২১ সালে তাই হয়েছিল।’ তবে তাতে ফলাফল কী দাঁড়ায়, বাংলার মানুষ কোন দিকে রায় দিয়েছিলেন সেটাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এই দিনের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গেও কড়া সুর শোনা যায় মন্ত্রীর গলায়।তিনি বলেন, ‘মহামান্য রাজ্যপাল কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিযে এমন কথা বললেন। মণিপুরে ত্রিপুরায় যখন ঘটনা ঘটে, যেখানে বিজেপি এত হিংসা ছড়িয়েছিল, তখন পড়শি রাজ্যের মহামান্য রাজ্যপালদেরও পরামর্শ দিয়েছিলেন তো?’