দলীয় নেতার স্মরণ সভা থেকে হলদিয়াকে গদ্দার-বিজেপি মুক্ত করার ডাক কুণাল ঋতব্রতর

দলীয় নেতার স্মরণ সভা থেকে হলদিয়ায় বিজেপি ও গদ্দার হটানোর ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগে নবীন-প্রবীণ একজোট হয়ে একটি পরিবারের মতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে গদ্দার হটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভোটের ময়দানে নামার ডাক তৃণমূলের।

শুক্রবার হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপিতা স্বপন নস্করের স্মরণ সভা থেকে বিজেপির নাম-নিশানা মুখে দেওয়ার শপথ নিল তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, হলদিয়াকে গদ্দার ও বিজেপি মুক্ত করতে পারলেই স্বপন নস্করকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো হবে। যেদিন হলদিয়া সম্পূর্ন বিজেপি মুক্ত হবে, সেদিন আবার সবাই মিলে প্রয়াত স্বপন নস্করের নামে জয়ধ্বনি তোলা হবে।

শুধু প্রয়াত নেতার ছবিতে ফুল, মালা কিংবা বক্তৃতা দিয়ে নয়, তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার একজোট হয়ে হলদিয়ার বুক থেকে বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেসকে মুছে দিতে হবে। হলদিয়াকে তৃণমূলের ঘাঁটি তৈরি করতে হবে।

বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ৮ ঘন্টার কাজ তারপর ওভার টাইম। কিন্তু বিজেপি চাইছে ১২ ঘন্টা কাজ করাতে। তৃণমূল কখনই শ্রমিক বিরোধী শ্রম আইন চালু করতে দেবে না। একদিকে কেন্দ্রের জন বিরোধী সরকার রান্নার গ্যাস থেকে পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। ১০০ দিনের বকেয়া পাওনা আটকে রেখেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। বাংলার ন্যায্য পাওনা ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে মিথ্যা, অপপ্রচার চালাচ্ছে। আসলে বিজেপি বাংলাকে দুর্বল করতে চাইছে।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তা হতে দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে একের পর এক জনমুখী প্রকল্পে রাজ্যবাসীর জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে তৃণমূল পরিবারকে অটুট রেখে পরিবারের হয়ে সকলকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে।

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, সিপিএম-আইএসএফ-কংগ্রেসকে একটি ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দুটি ভোট দেওয়া।সিপিএম-আইএসএফ-কংগ্রেস বিরোধী ভোট ভেঙে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে। কিন্তু দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটে সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধিকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ রাজ্যে কংগ্রেস বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছে।

কুণালের সংযোজন, এখানকার এক গদ্দার,বেইমান, বিশ্বাসঘাতক নিজেকে বাঁচাতে দল বদলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে। তাই বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হলদিয়াকে লোকসভা নির্বাচনে গদ্দার ও বিজেপি মুক্ত করতে হবে।

আইএনটিটিইউসি রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হলদিয়ার মতো শিল্প শহরের শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য দিল্লির প্রভুদের হয়ে এই জেলার গদ্দার অধিকারী পরিবার কাজ করছে। গদ্দারের কথায় বাংলার মানুষের টাকা আটকে রেখেছে দিল্লি। যেন এই টাকা ওদের পৈতৃক সম্পত্তি। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার হকের টাকা আদায়ের জন্য দিল্লিতে আন্দোলন করেছেন।

এদিনের স্মরণসভায় কুণাল ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন হলদিয়া টাউন সভাপতি মিলন মণ্ডল সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Previous articleজেলবন্দি সঞ্জয় সিংকে ফের রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে আপ, নতুন মুখ স্বাতী মালিওয়াল
Next articleদুই জেলায় দিনভর তল্লাশি ইডি-র, রেশন বন্টনে বেনিয়মের খোঁজ