দৈন্য বিজেপিকে রাজনৈতিক ফায়দা দিতে হাসপাতালে রাজ্যপাল ও বিচারপতি গাঙ্গুলি!

রাজনৈতিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া রাম-বামদের ঘরে কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে মাঠে নেমে পড়লেন খোদ দুই সাংবিধানিক প্রতিনিধি! সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে আহত ইডি আধিকারিকদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পাশাপাশি শাসকদলকে নিশানায় নিলেন রাজ্যপাল (Governor) ও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আক্রমণ শানাতে গিয়ে কার্যত নেমে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলের এজেন্টের ভূমিকায়। দুই সাংবিধানিক প্রতিনিধির এহেন আচরণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শাসক দলের অভিযোগ, রাজ্যে যখন একের পর এক তৃণমূল কর্মী খুন হন তখন রাজ্যপাল কিংবা বিচারপতি এহেন ভূমিকা কখনো দেখা যায়নি। দুজন সাংবিধানিক প্রতিনিধির এই আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়।

হাসপাতালে ইডি আধিকারিকদের দেখতে গিয়ে বিজেপির শেখানো বুলি শোনা যায় রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের গলায়। তিনি বলেন, “এটা আমাদের প্রত্যেকের জন্য লজ্জার। যা ঘটেছে, তাতে গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বাংলার পাশাপাশি গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। এই পচন আমরা থামাব”। পাশাপাশি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, পশ্চিমবঙ্গ সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে বাংলাকে ছোট করেছে।” দুই সাংবিধানিক প্রধান বিরোধীদের ভাষায় রাজ্যের শাসক দল ও সরকারকে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা যখন খুন হন আক্রান্ত হন তখন কেন এই সাংবিধানিক প্রধানরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন।

পাশাপাশি সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে সে প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফের আগেই জানানো হয়েছে, কোন এলাকা কতখানি স্পর্শ কাতর তা না জেনে, রাজ্যের প্রশাসনকে কোনও খবর না দিয়ে ইডি আধিকারিকরা ওই এলাকায় গিয়ে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। বিজেপির নির্দেশে ইডি তল্লাশির নামে প্ররোচনা দিতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিচারপতি ও রাজ্যপালের চেয়ারকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলী ও সিভি আনন্দ বোস। চেষ্টা করছেন শাসক দলকে বদনাম করে বিরোধীদের হাতে রাজনীতির মোয়া তুলে দেওয়ার।

 

 

 

 

Previous articleখ্রি.ষ্টান সম্প্রদায়ের উপর লাগাতার অত্যাচারের প্র.তিবাদ! মোদি সরকারকে নি.শানা করে বিবৃতি জারি তৃণমূলের
Next articleনির্বাচনের আগেই দু.র্ঘটনা! বেনাপোল এক্সপ্রেসে ভ.য়াবহ অ.গ্নিকাণ্ড, লাফিয়ে বাড়ছে মৃ.তের সংখ্যা