জীবন সবসময় হাসি আনন্দে ভরে উঠুক এটাই সকলে কামনা করেন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ সহজ নয়। এগিয়ে চলতে গেলে মাঝেমধ্যেই থমকে যেতে হয়, সাফল্যে পৌঁছানোর রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে হেরে যাওয়ার কষ্ট সহ্য করাটা জাগতিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তখনই মন ভেঙে যায়, চোখে জল আসে। এই সময় কান্নাকাটি না করে চোখের জল মুছে ঘুরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন প্রিয়জনেরা। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা (Health Experts) বলছেন কান্নাকাটি করা নাকি শরীরের জন্য উপকারী!

স্বাস্থ্যই সম্পদ, এ কথা আমরা সকলেই জানি। আর সেই শরীরকে ভাল রাখার জন্য মাঝেমধ্যে একটু আধটু কাঁদতে পারলে, অনেক বেশি করে সুস্থ থাকা যায় বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জাপানের এক সমীক্ষা থেকে আশ্চর্যজনক এই দাবি উঠে এসেছে। জানা গেছে সে দেশে ‘টিয়ার্স টিচার’ (Tears Teacher) নামে এক শিক্ষিকার পরিচয় তৈরি হয়েছে। গত প্রায় আট বছর ধরে কাঁদার উপকারিতা সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ চালান তিনি। বিজ্ঞানীদের মতে, কাঁদলে চোখে জল আসে আর তাতে চোখ শুকিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা কমে। এতে জীবাণুর হাত থেকে চোখকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। চোখের জলে লিসোজাইম নামে এক উপাদান থাকে যার ক্ষরণে চোখের ভিতরে জমে থাকা ধুলো ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, কাঁদলে মানসিকভাবে মানুষ অনেকটা হালকা বোধ করেন। তাই মনোবিজ্ঞানীদের মতে সুস্থভাবে জীবনে এগিয়ে চলতে গেলে মাঝে মধ্যে কান্না অত্যন্ত প্রয়োজন।
