অভিষেকের ভাতাপ্রদান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই, শুভেন্দু-বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে মোক্ষম জবাব তৃণমূলের

শুভেন্দু এই ভাতার অর্থের উৎস নিয়ে ইডিকে ট্যাগ করে পোস্ট করেন। একইসঙ্গে চিঠি লিখে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আয়কর দফতরের। অন্যদিকে তির্যক মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল জবাব দিতে দেরি করেনি

কথা দিয়ে কথা রাখার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারের প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান-শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজের উদ্যোগে তাঁদের জন্য বার্ধক্য ভাতা দিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার এই ভাতা প্রদান করেন অভিষেক। যা দেখে হিংসায় জ্বলছে বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে অন্যতম দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুভেন্দু এই ভাতার অর্থের উৎস নিয়ে ইডিকে ট্যাগ করে পোস্ট করেন। একইসঙ্গে চিঠি লিখে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আয়কর দফতরের। অন্যদিকে তির্যক মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল জবাব দিতে দেরি করেনি।

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এত ভাল কাজ করছে, কেন্দ্র চাইছে টাকা বন্ধ করে দিতে। সেই টাকা ব্লক করতে গেলে তো বাংলার মানুষের পেটে লাথি পড়ছে। ওরা ভাবছে না সেটাও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। অথচ কুৎসা করে যাচ্ছে।”

কুণালের দাবি, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কাজ মডেল। তাঁর কথায়, “অভিষেকের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরেই শুভেন্দু অধিকারী, অমিত মালব্যরা কুৎসা কররা চেষ্টা করছেন।” অরূপ বিশ্বাস বলেন, যতই শুভেন্দু অধিকারীরা অপপ্রচার করুন, অভিষেকের কেন্দ্র মডেল হিসাবে গোটা বাংলার সামনে উঠে আসবে। বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

অন্যদিকে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়ে দেখানোর খোলা চ্যালেঞ্জ জানান কুণাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ”আপনার এত কৌতূহল থাকলে বিচারপতির পদ ছেড়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারেই প্রার্থী হোন, অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়ে দেখান। যদি অভিষেকের সম্পত্তি নিয়ে এত কৌতুহল, তাহলে তাঁর হলফনামাগুলো দেখে নিন না। ওখানেই তো সব পেয়ে যাবেন।”

কুণালের সংযোজন, ”আপনার তো এবার শেষ বছর। এবছরই অবসর। তা আপনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার থেকেই অভিষেকের বিরুদ্ধে বিরোধী কোনও একটা দল থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। অভিষেক সম্পর্কে আপনার নিজের ধারণা খারাপ নয়। কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে বলে আপনার মাথায় বিষ ঢোকাচ্ছে।”

গত সোমবার মামলার শুনানি চলাকালীন সওয়াল-জবাবের সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ছিল, ”ভগবান বৃদ্ধ হয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না।” এই মন্তব্যের পালটায় কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ”বাংলায় একটা প্রবাদ আছে – দশ চক্রে ভগবান ভূত। এই ভগবানের মায়াজালে আপনি জড়াবেন না। ওই বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস মিলে আপনার মাথায় ভগবানের মায়া ঢোকাচ্ছে, আপনি ওতে জড়াবেন না। তাহলে ভগবানের ভূত হয়ে যাওয়ার পরিণতিও মেনে নিতে হবে আপনাকে।”

 

Previous articleস্বপ্নপূরণ, রাষ্ট্রপতির হাত থেকে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত হলেন মহম্মদ শামি
Next articleমোয়া-মধুতে GI ট্যাগ: অভিনন্দন জানিয়ে জয়নগরে মোয়ার হাব তৈরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর