ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার, রামমন্দির ‘গিমিক’! বিজেপি বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ মমতার

ভোটের আগে বিজেপির এজেন্সিরাজ। বিরোধী নেতাদের ধরে জেলে পুরে একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু সেটা হবে না। মঙ্গলবার জয়নগরের প্রশাসনিক সভা বিজেপির (BJP) এজেন্সিরাজ ও ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে তুমুল আক্রমণ করলেন তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিষয় নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের আগে গিমিক করতে রামমন্দির উদ্বোধন বলে অভিযোগ তাঁর।

এদিন সভা থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে TMC নেতাদের ধরপাকড়ের বিষয় নিয়ে তোপ দাগেন মমতা। অভিযোগ করেন ”ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এলাকা ফাঁকা করতে গ্রেফতারি!” তাঁর কথায় বিরোধীদের সরিয়ে ভোট করাতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাংলার মানুষ সেটা হতে দেবে না বলে বিশ্বাস তৃণমূল নেত্রীর।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার খুনের ঘটনা নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বলেন, ”কয়েকদিন আগে এখানে একটা খুন হয়েছিল। কারা এই ভাড়াটে খুনিদের ভাড়া করে, তাদের আগে খুঁজে বের করতে হবে। মানুষ খেতে না পেলে কেউ ৫ টাকা সাহায্য করে না, অথচ ১৩-১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মানুষ মারার জন্য খুনি ভাড়া করছে!” বগটুই কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।

মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কালকে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, রাম মন্দির নিয়ে আপনার কী বক্তব্য? যেন আর কোনও কাজ নেই। একটাই কাজ। আমি বললাম, ধর্ম যার যার নিজের, উৎসব কিন্তু সবার। আমি সেই উৎসবে বিশেষ করি যা সবাইকে নিয়ে চলে।” এরপরেই গেরুয়া শিবিরতে তোপ দেগে তৃণমূল সভানেত্রী বলেন, “ভোটের আগে আপনারা গিমিক করছেন, করুন। আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তা বলে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে অবহেলা করা কারও কাজ নয়।” বাংলায় ভেদাভেদ তথা বিভাজনের কোনও স্থান নেই- বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমি ওয়াদা করে যাচ্ছি, শপথ করে যাচ্ছি, আল্লাহর কসম তৃণমূলের সরকার যতদিন থাকবে বাংলায় শিখ-খ্রিস্টান, তফসিলি-আদিবাসীদের ভাগাভাগি হতে দেব না।”

আরও খবর: অভিষেকের ভাতাপ্রদান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই, শুভেন্দু-বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে মোক্ষম জবাব তৃণমূলের

রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা নিয়ে কেন্দ্রকে ফের নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “২০১১ সাল থেকে পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকা মিলিয়ে ৫০ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি আমরা। কেন্দ্রের কাছ থেকে শুধুমাত্র গৃহ প্রকল্পেই এখনও পর্যন্ত ২৯ হাজার কোটি টাকা পাই। তাই আবেদন করেও এখনও অনেকে বাড়ি পাননি। এরা নির্বাচনের সময় শুধু ভোট করতে আসে। ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ ঘটাতে আসে এখানে। তার পর বাংলাকে তার প্রাপ্য টাকা দেয় না।”

 

মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি যা বলেন, তা করে দেখান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্মার্ট কার্ড, কৃষকবন্ধু, বিনামূল্যে রেশনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। আজও তার সুফল পাচ্ছেন বাংলার মানুষ। মানুষের বিপদে আপদে সবসময় তাঁকে পাশে পাওয়া যাবে।

Previous articleজয় দিয়ে সুপার কাপের অভিযান শুরু লাল-হলুদের, জোড়া গোল ক্লেটনের
Next articleIMDb-তে ফুল মার্কস ‘টুয়েলভথ ফেল’-এর, আড়াইশো ছবির মধ্যে সেরার তকমা!