যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিও ক্রমশ কর্পোরেট হয়ে উঠছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে কর্পোরেটের ছোঁয়া। এক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়াকে অন্যতম হাতিয়ার করছে রাজনৈতিক দলগুলি। ব্যতিক্রম নয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বেশ কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে অনেক সাফল্য এসেছে ঘাসফুল শিবিরে। নতুন করে তৈরি করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সেল। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বিজেপি সহ বিরোধীদের মোক্ষম জবাব দিতে দেখা যায় তৃণমূলকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’র পালটা এবার ‘জন কি বাত’ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে সেই বাহিনী। জানা গিয়েছে, একাধিক ইসুতে উন্নয়ন থেকে শত যোজন দূরে থেকেও আত্মপ্রচারের কাজেই রাজকোষের ভুড়ি ভুড়ি অর্থ ও সময় ব্যয় করছে মোদি সরকার। মোদির এই আত্মপ্রচারের পিছনে ধর্মের গিমিক। অথচ দেশের অর্থনীতির ভেঙে পড়েছে, বেড়েছে দুর্নীতি, দেশজুড়ে অনুন্নয়নের ছোঁয়া, বেকারত্ব, হিংসা, নারী নির্যাতনের মতো ভয়াবহ ঘটনা এখন রোজ নামচা। কিন্তু সাধারণ মানুষ অর্থাৎ জনতার দাবি, তাঁদের মনের কথা, সমস্যার কথা শুনছে না মোদি সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার এই ঘটনাগুলি তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। তারই পোশাকি নাম ‘জন কি বাত’ রাখল তৃণমূল। লোকসভার আগে যা তৃণমূলের জন্য মোক্ষম অস্ত্র হতে চলেছে।

We have had enough of the heartfelt conversations with Prime Minister @narendramodi over the last 10 years!
It’s time to serve the TRUTH!
It’s time for conversations that speak volumes!Bohot hui MANN KI BAAT, Ab hogi JAN KI BAAT. pic.twitter.com/i76LKnITwr
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 9, 2024
‘জন কি বাত’ নিয়ে একটি প্রচারমূলক থ্রিডি ভিডিও বানানো হয়েছে। যেখানে নরেন্দ্র মোদির কণ্ঠস্বর নকল করেই বলা হচ্ছে, ‘মন কি বাত অনেক হয়েছে, এবার হবে ‘জন কি বাত’!’ সঙ্গে দলের এক্স হ্যান্ডলে আরও লেখা হয়েছে, ‘গত ১০ বছর ধরে আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনেক মনের কথা শুনেছি, অনেক মনের কথা জেনেছি! আর নয়! এবার সত্যিটা সামনে আনার সময় হয়ে গিয়েছে! মানুষের কথা বলার সময় এসে গিয়েছে!’
