কাফ সিরাপ খাইয়ে শিশুকে খুন, ‘ঘাতক মা’ CU-এর স্কলার!

৪ বছরের শিশুপুত্রকে খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপের সিইও সূচনা শেঠ (Suchana Seth) । ঘটনার তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে উঠে এসেছে। আর এর সঙ্গেই জুড়েছে কলকাতা যোগ (Kolkata Connection)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান যে খুনের পরিকল্পনা বেশ কয়েকদিন আগেই করা হয়েছিল। কারণ ফ্ল্যাটের তল্লাশি চালিয়ে সেরকম কিছু তথ্য এসে পৌঁছেছে তদন্তকারীদের হাতে। গোয়া পুলিশ জানিয়েছে, ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কাশির ওষুধের একাধিক খালি শিশি মিলেছে। আর তা থেকেই অনুমান, যে গোটা ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত এবং সন্তানকে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ খাওয়াতেন সূচনা। গোয়ার হোটেলে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিবরণ শুনে কার্যত বাক্রুদ্ধ দেশ। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল ‘ঘাতক মা’য়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। অভিযুক্ত সূচনা কলকাতার ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গ্রাজুয়েশন করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Calcutta)পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী পেয়েছেন। এখানেই শেষ নয় M.Sc তে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া অভিযুক্ত মহিলা অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের সঙ্গে প্লাজমা ফিজিক্সেও বিশেষজ্ঞ তিনি। এছাড়া তিনি সংস্কৃতে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করেছেন। এবার নিজের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।

নিজের সন্তানকে খুন করে, ব্যাগে দেহ নিয়ে হোটেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ছক করেছিলেন সূচনা, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই পরিকল্পনা বানচাল করে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরাপড়েন ‘ঘাতক মা’। সূচনা কয়েক মাস আগে স্বামী পি আর ভেঙ্কট রমনের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আদালতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বালিশ অথবা কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। দেহ নিয়ে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্ত মহিলার বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশের কাছে জেরায় অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সূচনা। শিশুটির বাবা ভেঙ্কট ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় কর্মরত। সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ফিরে আসায় ময়নাতদন্তের পর শিশুর দেহ তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে আপাতত তাঁকে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

Previous articleসংসদ নেতা হলেন শেখ হাসিনা, শপথ নিলেন সংসদ সদস্যরা
Next articleপাক জেলে বন্দি জঙ্গি হাফিজ, দাবি রাষ্ট্রসংঘের