রাজ্যে বাড়ল JN.1 সংক্রমণ, শীতে সতর্কতার পরামর্শ চিকিৎসকদের

এবার নতুন করে আরও ৮ জনের শরীরে এই সাবভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে বলে শুক্রবার জানা যাচ্ছে।

গোটা বিশ্বে শীতের প্রভাব বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। সেই সঙ্গে নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট JN.1 আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। বাংলাতেও একইভাবে কোভিডের সাবভ্যারিয়েন্ট JN.1 আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ডাক্তারদের কড়া নজরদারির অধীনে রয়েছেন আক্রান্তরা। ইতিমধ্যেই কোভিডে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির ICCU গুলিকে জীবণুমুক্ত (disinfect) করার নির্দেশ দেন যাতে সেখান থেকে কোনও সংক্রমণ না হয়।

বছরের শুরুতেই উৎসবের মেজাজে গোটা রাজ্যের মানুষ মেতে ওঠার পর দেখা যায় কোভিডের সংক্রমণ কলকাতা শহরে বেশ অনেকটা বাড়ে। সেই সময়ই প্রায় ২৬ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের (genome sequencing) জন্য পাঠানো হয় কল্যাণীতে। তাতে প্রথম ২ জনের শরীরে নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এবার নতুন করে আরও ৮ জনের শরীরে এই সাবভ্যারিয়েন্টের (sub-varient) খোঁজ মিলেছে বলে শুক্রবার জানা যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন ভিড়ে মাস্ক ব্যবহার করার। সেই সঙ্গে কোমর্বিডিটি (Co-morbidity) যাদের রয়েছে তাঁদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবারই রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ গত ১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। দৈনিক আক্রান্ত ছিল ২৫ জন। শুক্রবার সেই সংখ্যা লাফিয়ে অনেকটাই বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৪৪ জন। তবে ইতিমধ্যেই বহু কোভিড আক্রান্ত সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। ফলে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বাড়েনি।

গোটা দেশেও একইভাবে বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের (COVID death)। যদিও সারাদেশে সুস্থতার হার ৯৮ শতাংশের বেশি। সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা সতর্ক করছেন কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের। সেই সঙ্গে অন্য কোনও রোগ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ হলে তাঁদের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতার কথা বলছেন ডাক্তাররা। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কমার কারণে কোভিডের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষকে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।