চিনের মদতেই বাড়বাড়ন্ত! মালদ্বীপ ইস্যুতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের

তবে জয়শঙ্কর মনে করেন, গত ১০ বছর ধরে পৃথিবীর বাকি দেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে ভারত।

ভারত-মালদ্বীপ (India-Maldives) ইস্যুতে এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার নাগপুরের (Nagpur) এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিদেশমন্ত্রী সাফ জানান, ‘‘রাজনীতি আসলে রাজনীতিই। আমি কখনওই গ্যারান্টি দিতে পারব না যে, সব দেশে প্রতিদিন প্রত্যেক মানুষ আমাদের সমর্থন করবেন, বা আমাদের পাশে থাকবেন।’’ তবে জয়শঙ্কর মনে করেন, গত ১০ বছর ধরে পৃথিবীর বাকি দেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে ভারত।

তবে এখানেই শেষ নয়, জয়শঙ্কর আরও জানিয়েছেন, ‘‘গত ১০ বছর ধরে আমরা চেষ্টা করেছি, সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এর ফলে কখনও রাজনৈতিক চাপানউতর হলেও, সেই দেশের মানুষের যাতে ভারতের প্রতি অনুভূতি অটুট থাকে। সব দেশই যেন বোঝে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’’ পাশাপাশি বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি চিনের সঙ্গে ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মালদ্বীপ সরকার। উল্টে পরিকাঠামো উন্নয়নে মালদ্বীপকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। বদলে চিনের থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে মালদ্বীপ। আর তাঁর জেরেই চিনের কাছে ক্রমেই হাত-পা বাঁধা পড়তে চলেছে তাদের। সরাসরি এই নিয়ে মুখ না খুললেও জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, অন্য অনেক দেশে রাস্তা নির্মাণ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি জোগানে সাহায্য করছে ভারত। বিনিয়োগ করছে। তাদের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সাহায্য করছে। এদিকে রবিবারই মুইজ্জুর নির্দেশে দ্রুত সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল দুই দেশ, এমনটাই জানা গিয়েছে। রবিবারই দুই দেশের আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যেই মালদ্বীপ ছাড়তে হবে ভারতীয় সেনাকে। মালদ্বীপের মন্ত্রী ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুইজ্জুর বৈঠকে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটির সদস্যরাই হাজির ছিলেন। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানো ছাড়াও আরও নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই খবর।

তবে মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনদিনও এই তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছয়নি। অতীতে প্রায় সব সময়ই মালদ্বীপকে পাশে পেয়েছে ভারত। তবে মহম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই নয়া দিল্লির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। সেই প্রসঙ্গেই জয়শঙ্কর বলেন, লাক্ষাদ্বীপে গিয়ে ছবি পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর তা দেখেই কুমন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী। আর তারপর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে মালদ্বীপের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বয়কট মালদ্বীপ’-এর ডাক দেওয়া হয়। তবে এ সবের নেপথ্যে চিনের প্রত্যক্ষ ‘প্ররোচনা’ই দেখেছে ভারত।

 


Previous articleগঙ্গাসাগরে এক ঢিলে দুই পাখি প্রশাসনের, বিশেষ পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ
Next articleডানকুনিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ  কল্যাণের