‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাব বা মোবাইল কেনার অর্থ পেয়েও কত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন না তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে হবে। নির্দেশের সঙ্গে স্কুলে একটি ফর্ম পাঠানো হয়েছে। সেই ফর্মে ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট সংখ্যা লিখে তা শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে।
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভা ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, ছাত্রছাত্রীরা যাতে অনলাইনে সঠিক ভাবে পড়াশোনা করতে পারেন, সেই কারণেই এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে বেশির ভাগ পড়াশোনা করেন গরিব এবং প্রান্তিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা। তাঁদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতেই নতুন এই নীতি গ্রহণ করেছিল রাজ্য।
বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডলের দাবি, “করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় সত্যি সত্যিই স্কুলে স্কুলে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছিল। সেই সময় ছাত্রছাত্রীদের জন্য মোবাইল অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। তাই সেই সময় সরকারি সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কারণ, অনলাইনে পড়াশোনা করতে গেলে ট্যাব বা মোবাইল আবশ্যিক হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বিজন সরকার বলেন, “সব সময় শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়কে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দেখা উচিত বলে আমরা মনে করি। হয়তো ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প একটি বিশেষ সময়ের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল, কিন্তু আচমকা তা বন্ধ করে দেওয়া একেবারেই যুক্তিযুক্ত নয়।
ট্যাব বা মোবাইল কেনার অর্থপ্রাপ্ত কত ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে নেই জানতে চাইল শিক্ষা দফতর
Date:
Share post: