রাজধানীর বুকে লিভিং পার্টনারকে খুন করে ফ্রিজের মধ্যে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে লুকিয়ে রাখার সেই নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠেছিল সারা দেশ। এবার বাংলায় ফিরলো সেই চিত্র। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে নুরউদ্দিন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করে কেটে খালের জলে ভাসিয়ে দিয়েছেন বলে উঠেছে অভিযোগ। খাল থেকে মুখের কিছুটা অংশ, হাতের টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে গলার নীচ থেকে পেট পর্যন্ত অংশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলার নাম সায়রা বানু।

পুলিশ সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত কিছুদিন আগেই স্ত্রীয়ের মিসিং ডায়েরি করেছিলেন থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। নুরউদ্দিনকে জেরা করা শুরু হয় আর তাতেই মেলে বেশ কিছু অসঙ্গতি। এরমধ্যেই সোমবার বাড়ি থেকে অন্যত্র গিয়ে বিষ খান নুরউদ্দিন। স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই অভিযুক্ত স্বীকার করেন যে তিনি স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন। প্রমাণ লোপাট করতে স্ত্রীর দেহ খন্ড খন্ড করে খালের জলে ফেলে দেওয়ার কথাও জানান তিনি। মধ্যমগ্রাম থানার রোহান্ডার খাল থেকে টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধারও হয়। পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই দিল্লিতে শ্রদ্ধা কাণ্ডের স্মৃতি ফিরেছে অনেকেরই মনে।

