রামের নামে রাজনীতি! মোদির ব্রতপালনকে ক.টাক্ষ করে অযোধ্যা ‘ব.য়কট’ পাওয়ারের

রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন দেশবাসী কী করবেন তা নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে সঙ্গীতশিল্পী কে এস চিত্রা

রামমন্দিরের (Ram Mandir) শিলান্যাস হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর (Rajiv Gandhi) আমলে। আর আজ সেই মন্দির নিয়েই রামের নামে রাজনীতি করছে বিজেপি (BJP), আরএসএস (RSS)। অযোধ্যায় (Ayodhya) রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এনসিপি (NCP) সভাপতি শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। পাশাপাশি তিনি সাফ জানিয়েছেন, তিনি মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় যাবেন না। যদিও কী কারণে তাঁর এমন সিদ্ধান্ত সেকথাও পরিষ্কার জানিয়েছেন এনসিপি নেতা। মঙ্গলবার কর্নাটকের নিপানিতে বক্তব্য রাখেন পাওয়ার। তিনি জানান, ভগবান রাম বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাস ও ভক্তির প্রতীক। অযোধ্যার অনুষ্ঠান ঘিরে রামভক্তদের উৎসাহ তুঙ্গে। ২২ জানুয়ারি তাঁরা বিপুল সংখ্যায় সেখানে যাচ্ছেন। আর সেদিনের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আনন্দ রামভক্তদের মাধ্যমেই আমার কাছে পৌঁছবে। এরপরই তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের পরে সহজেই দেখা মিলবে রামের।

তবে এদিন এখানেই থেমে থাকেননি পাওয়ার। তিনি আরও জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমলে রামমন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়েছিল। আর এখন সেই মন্দির নিয়েই বিজেপি ও আরএসএস ভগবান রামের নামে রাজনীতি করছে। রামমন্দির শিলান্যাস অনুষ্ঠান রাজীবের আমলে হলেও তা নিয়ে রাজনীতি হয়নি। আজ যার সাক্ষী মোদির ভারত। পাশাপাশি মোদির ব্রতপালন নিয়েও এদিন তীব্র কটাক্ষ করে এনসিপি নেতা বলেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মন্তব্য,  ভগবান রামের প্রতি ওঁর বিশ্বাসকে আমি শ্রদ্ধা করি। কিন্তু উনি যদি দেশের দারিদ্র দূর করার জন্য উপবাস, ব্রত রাখতেন, তাহলে মানুষ প্রশংসা করত।

অন্যদিকে, এবার রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন দেশবাসী কী করবেন তা নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী সঙ্গীতশিল্পী (Singer) কে এস চিত্রা (K S Chithra)। শিল্পীর পাশে দাঁড়িয়ে পালটা হুঙ্কার দিলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভেল্লামভেলি মুরালীধরন। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে চিত্রাকে রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে বার্তা দিতে শোনা যায়। তিনি ভিডিওতে বলেন, রামমন্দির উদ্বোধনের সময় সবাইকে রামনাম জপ করুন এবং বাড়ির সামনে প্রদীপ জ্বালান। আর শিল্পীর এমন মন্তব্যেই চটে লাল নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা পোস্ট করে লেখা হয়, আগে মানুষের মতো আরএসএস-এর গুন্ডাদের হাতে মসজিদ ধ্বংসের কথা স্বীকার করুন। আপনি শাসক দলের প্রতি অনুগত হতেই পারেন, মানুষকে এই আনুগত্যের শিক্ষা দেবেন না। যদিও এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গীতশিল্পীর পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ভেল্লামভেলি মুরলীধরন।

 

 

 

 

Previous articleসন্দেশখালিকাণ্ডে SIT গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের, একযোগে তদন্ত করবে CBI-রাজ্য পুলিশ
Next articleচিনের ডিং লিরেনকে হারিয়ে বর্তমানে দেশের একনম্বর দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ