Tuesday, May 6, 2025

প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় ওয়েবসাইটের পোর্টালের অ্যালগরিদম বদলে দেওয়ার অভিযোগ সিবিআইয়ের

Date:

প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এর আগে সিবিআই অভিযোগ করেছিল ওএমআর শিটের নকশা নিয়ে। এবার তাদের অভিযোগ ওএমআরের ডেটাবেস নিয়েও। ওয়েবসাইটের পোর্টালের অ্যালগরিদমে কারচুপি করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছে। প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার চার্জশিটে এমনই অভিযোগ তুলল সিবিআই।কেন এই কীর্তি করা হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে তারা। অযোগ্য প্রার্থীদের আড়াল করার চেষ্টাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।সিবিআইয়ের পর্যবেক্ষণ, যাঁরা টেট পাশ করেছিলেন তাঁদের জন্য একটি বিশেষ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তী ধাপে পৌঁছনোর জন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সেই পোর্টালে নাম নথিভুক্তিকরার নির্দেশ দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রেশনের পরেই ইন্টারভিউয়ের ডাক পেতেন চাকরিপ্রার্থীরা।

চার্জশিটে সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, কোনও রকম বৈধ চুক্তিপত্র ছাড়াই মুম্বই এবং কলকাতা-ভিত্তিক সংস্থা রানটাইম প্রাইভেট সলিউশনকে ওই পোর্টাল তৈরির দায়িত্ব দেয় ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি।চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, অন্য সংস্থাকে পোর্টাল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হলেও, সেই পোর্টালে চাকরিপ্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত নথি দেখার সুযোগ পেতেন বরাত দেওয়া সংস্থার কর্তা কৌশিক। যা নিয়ম-বহির্ভূত। সিবিআইয়ের অভিযোগ, কৌশিক শুধু সেই নথি দেখতেন না, নথিতে বদলও ঘটাতেন।

অভিযোগ, কৌশিক পোর্টালে থাকা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বরের ভিত্তিতে একাধিক রেজিস্ট্রেশন করানোর ব্যবস্থা করতেন। ফলে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বরের সাহায্যে অনেক অযোগ্য প্রার্থীও ওই পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে পারতেন। একই রোল নম্বরে একাধিক রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য পোর্টালের অ্যালগরিদম কোডে বদল ঘটানো হয়েছিল বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তবে কেন এই ভাবে এক রোল নম্বরে একাধিক রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পর্ষদের আধিকারিকদের ভূমিকাও।চার্জশিটে সিবিআই আরও দাবি করেছে যে, প্রাথমিকে নিয়োগের যে ওএমআর শিট তৈরি করা হয়েছিল তাতে চাকরিপ্রার্থীর রোল নম্বর, জাতি, শ্রেণি, লিঙ্গ, বুকলেট কোড, নির্দেশের মাধ্যম এবং ওএমআর শিটের নম্বর রয়েছে। কিন্তু আসল তথ্যই নেই!

সিবিআই জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীর নাম, বাবা অথবা অভিভাবকের নাম, জন্ম তারিখের মতো কিছু তথ্য, যা পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়, সেগুলি ইচ্ছা করেই ওএমআর শিটে রাখা হয়নি। আসলে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আড়াল করতেই ওই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল, দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার।২০১২ সালের টেটে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, ২০১৪ সালের টেটে তাঁরাও বসেছিলেন। এই প্রার্থীদের যাবতীয় তথ্য-সহ প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল ন্যাশানাল ইনফরমেটিক সেন্টার (এনআইসি)-এর মাধ্যমে। সেই তথ্য পর্ষদকে পাঠানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ, বর্তমানে পর্ষদ বা ওই সংস্থা— কারও কাছেই প্রার্থীদের তথ্য নেই। ফলে প্রার্থীদের শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Related articles

ওয়াকফ আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রীর, সাহায্য ২৮০ পরিবারকে

ওয়াকফ আইন নিয়ে অশান্তির জেরে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে (Samsherganj) হিংসার ঘটনার পরে পরিস্থিতিত বর্তমানে স্বাভাবিক। স্থানীয় মানুষকে হিংসায় কোনওভাবে...

রোহিতের সামনে বিরাটের রেকর্ড ছোঁয়ার হাতছানি

আইপিএলের(IPL) মঞ্চে নতুন মাইলস্টোনের সামনে রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। ৭৯ রান করতে পারলেই বিরাট কোহলির(Virat Kohli) সঙ্গে আইপিএলের(IPL) এলিট...

না ফেরার দেশে সদা হাস্যমুখ সাংবাদিক বাবজি সান্যাল, অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের

প্রয়াত বাংলা বিনোদন জগতের অতি পরিচিত সাংবাদিক বাবজি সান্যাল (Babji Sanyal)। মঙ্গলবার, সকালে তাঁকে বাড়ির রান্নাঘরের সামনে থেকে...

পুঞ্চে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ল বাস! কাশ্মীরে দুর্ঘটনায় মৃত দুই, আহত একাধিক

জম্মু-কাশ্মীরে (J & K) যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে মেন্ধার যাওয়ার পথে পুঞ্চ জেলার খোর ধারায়...
Exit mobile version