আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

২০১৯

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় 

(১৯৩৪-২০১৯) এদিন প্রয়াত হন। দীর্ঘ বর্ণময় জীবনে তাঁর স্মৃতির ঝাঁপিতে জমা ছিল অজস্র হিরে-জহরত! কখনও সেই অর্থে আঁতেল ছিলেন না। তিনি বিশ্বসাহিত্যের পণ্ডিত বা হয়তো রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞও নন। কিন্তু জীবনকে মন্থন করে উঠে আসা বিষামৃতই তাঁর লেখাকে স্মরণীয় করে তুলেছে। অদ্ভুত কবিতাকল্প ভাষা ছিল অতীনের। ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’ বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী সৃষ্টি। এখনও পাঠকমহলে বইটির ভাল কদর। পূর্ববঙ্গের ফেলে আসা জীবন, গ্রাম, জীবন্ত সব চরিত্র অসামান্য কাব্যময়তায় উঠে এসেছে। উদ্বাস্তু জীবনে বাঁচার তাগিদেই জাহাজের চাকরি জুটিয়েছিলেন। জাহাজের খোলে অসহ্য গরমে বয়লারে কয়লা জোগানের কাজ। তখন আর্জেন্টিনা গিয়ে একটি মেয়ের সঙ্গে ওঁর প্রেম হয়েছিল। ‘অলৌকিক জলযান’-এ সেই জাহাজের জীবনের কথা রয়েছে। ওঁর শেষ উপন্যাস ‘পরমেশ্বরী’ও স্মৃতিকথামূলক। সাহিত্য আকদেমি-সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৭৮

বিজন ভট্টাচার্য

(১৯০৬-১৯৭৮) এদিন প্রয়াত হন। বাংলা নাটকের অন্যতম ‘চর্চিত অথচ বিস্মৃত’ চরিত্র। নাটককে তিনি কেবল একটা ‘পারফর্ম্যান্স’ হিসেবে দেখতেন না। শিল্প বলতে বুঝতেন সমাজ বদলের হাতিয়ার। থিয়েটারকে বুঝতেন গণের নাটক। যা কেবল সাধারণ মানুষের ভাল-মন্দ-দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কথা বলবে না। নাটকের মধ্য দিয়ে মানুষও হয়ে উঠবে সেই গল্পের এক-একজন কুশীলব। দর্শক এবং রঙ্গকর্মী সকলে একত্রে ঢুকে পড়বেন থিয়েটারের অঙ্গনে। তার পরে বিপ্লব ঘটে যাবে। জীবন, রাজনীতি এবং থিয়েটার নিয়ে এ ভাবেই মিলেমিশে ছিলেন বিজন। যাপন-অর্থনীতি-রাজনীতি-পরব— সব নিয়ে মাখামাখি বিজন ভট্টাচার্য নিজেই আসলে একটা থিয়েটার! মোনোলগ। ‘নবান্ন’র নাট্যকার তাই আজও ছ্যাঁকা দেন। অভিনয়কে, থিয়েটারকে বোধহয় খুব ‘অর্গানাইজ়ড’ ভাবে দেখতেও চাননি বিজন। দল গোছাতে চাননি। বরং সংগ্রামের পথটাই ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। হয়তো সে-জন্যই মুক্তমঞ্চে নাটক চলাকালীন যখন পায়ে পেরেক ফুটে গিয়েছিল, তিনি অভিনয় বন্ধ করেননি। দুই সিনের মাঝখানে পা থেকে বারও করতে পারেননি পেরেক। পেরেক বেঁধা রক্তাক্ত পায়ে শেষ হয় শেষ অভিনয়। রাতে বাড়ি ফিরে রক্তবমি। দু’বার। পরদিন মৃত্যু।

১৯৩৫

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

(১৯৩৫-২০২০) এদিন জন্ম নেন। তিনি শুধু বাংলা ছবির মহাতারকা ছিলেন না, ছিলেন অভিনেতা-নাট্যকার-বাচিকশিল্পী-কবি-চিত্রকরও। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজের সুবাদে সবচেয়ে বেশি পরিচিত সৌমিত্র। তাঁর পরিচালনায় মোট ১৪টি ছবিতে কাজ করেছেন সৌমিত্র। লিজিয়ঁ অব অনার, দাদাসাহেব ফালকে, বঙ্গভূষণ, পদ্মভূষণ এবং জাতীয় স্তরে আরও অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। নাহ্, উত্তমকুমার হয়ে ওঠেননি তিনি। অন্য বহু তারকার মতো টলিউডের কমার্শিয়াল ছবিতে দাপিয়ে কাজ করেছেন এমনও নয়। তাঁর একমাত্র সম্পদ ‘অ্যাকাডেমিক ইনটেলিজেন্স’। অভিনয়ে বুদ্ধির সংযত ঝলক। আর সেই হাতিয়ার সম্বল করেই কখনও তিনি হয়েছেন রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ আবার কখনও সত্যজিৎ রায়ের প্রদোষচন্দ্র মিত্র। ‘ময়ূরবাহন’ থেকে ‘ময়ূরাক্ষী’। ‘ক্ষিদ্দা’ থেকে ‘উদয়ন পণ্ডিত’। বাঙালি তাঁকে ঘিরে সব আশা দু’হাত ভরে মিটিয়েছে।

১৯০৫

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

(১৮১৭-১৯০৫) এদিন পরলোক গমন করেন। ব্রাহ্মধর্মের প্রচারক। রবীন্দ্রনাথের বাবা। আজ থেকে প্রায় পৌনে দু’শো বছর আগে বাজারে প্রায় এক কোটি টাকা দেনা রেখে মারা গেছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ৷ সম্পত্তি ছিল চল্লিশ লক্ষ টাকার৷ এই চল্লিশের মধ্যে তিন লাখের সম্পত্তি রেখে বাকি সবটাই বিক্রি করে দেন দেবেন্দ্রনাথ এবং ওই বাকি তিনলাখ থেকে পরের প্রায় চল্লিশ বছরে সুদে-আসলে বাকি ঋণ শোধ করেন দ্বারকানাথের দায়িত্ববান জ্যেষ্ঠপুত্র৷ পূজা-পার্বণাদি বন্ধ করে ‘মাঘ উৎসব’, ‘নববর্ষ’, ‘দীক্ষা দিন’ ইত্যাদি উৎসব প্রবর্তন করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি বীরভূমের ভুবনডাঙা নামে একটি বিশাল ভূখণ্ড ক্রয় করে আশ্রম স্থাপন করেন। এই আশ্রমই আজকের বিখ্যাত শান্তিনিকেতন।

১৯২৭

স্যার ডাঃ কৈলাসচন্দ্র বসু

(১৮৫০-১৯২৭) এদিন প্রয়াত হন। মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে ক্যাম্বেল হাসপাতালের রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার হন। মূলত তাঁর চেষ্টায় বাঙলায় পশুচিকিৎসা কলেজ স্থাপিত হয়। ট্রপিক্যাল মেডিসিন স্কুল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তাঁর অবদান ছিল। ভারতীয় ডাক্তারদের মধ্যে তিনিই প্রথম স্যার উপাধি পান।

১৯৯২

মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের (১৯২৯-১৯৯২) প্রয়াণদিবস। প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ও সুরকার। নজরুলগীতি, দ্বিজেন্দ্রগীতি, পল্লিগীতি, আধুনিক, পুরাতনী, সব রকম গানেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন। ১৯৪৫ সাল থেকে বেতারে গান গাইতেন। প্রথম প্লেব্যাক ‘নবজন্ম’ ছবিতে। সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ১৯৫০-এ ‘ ‘চাঁপাডাঙার বউ’ ছবিতে। ১৯৭০-এ বিএফজে পুরস্কার পান।

 

 

 

Previous articleএকনজরে আজকের পেট্রোল-ডিজেলের দাম 
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস