Thursday, November 13, 2025

মিটবে জলের স.মস্যা! ১৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলার বৃহত্তম জল শোধানাগার গড়ছে রাজ্য

Date:

Share post:

বৃহত্তর কলকাতার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে চলা পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে নতুন জল শোধনাগার তৈরি করবে রাজ্য। কলকাতার উপকন্ঠে হুগলি জেলার উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার হিন্দমোটর এলাকায় ১৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের বৃহত্তম জল শোধানাগার গড়ে উঠতে চলেছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। এই পানীয় জল প্রকল্প গড়ে উঠলে ৭টি পুরসভা এবং ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে সেখানে প্রতিদিন ৫৫ গ্যালন জল পরিশুদ্ধ করা যাবে।

জানা গিয়েছে, হিন্দমোটর এলাকায় যেখানে একটি ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার জন্য জমি বাছা হয়েছিল সেখানেই এই জল শোধনাগার গড়ে উঠবে। এই প্রকল্পটি টালা ট্যাঙ্কের ৬ গুণেরও বেশি জল ধারণ করতে পারবে। টালায় এখন ৯ মিলিয়ন গ্যালন জল ধরে রাখার ব্যবস্থা আছে। হিন্দমোটরে প্রস্তাবিত শোধনাগারে ৫৫ মিলিয়ন জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উত্তরপাড়া- কোতরং, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি ও ডানকুনি পুরসভা সহ আশেপাশের আরও ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য ৬০টি ওভারহেড ও ৭টি ভূগর্ভস্থ জলাধার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই কাজ ২০১৯ সালেই শুরু হয়ে গিয়েছে। গঙ্গা থেকে জল তুলে তা হিন্দমোটরের শোধনাগারে টেনে আনতে নদীতে একটি ইনটেক জেটি স্থাপন করা হয়েছে। বসানো হচ্ছে পাইপ লাইনও।

এই প্রকল্প প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘টালা ও পলতা বেশ পুরাতন। তবে হিন্দমোটরের প্রকল্পই রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বৃহত্তম প্রকল্প হতে চলেছে। সবচেয়ে বড় জল শোধনাগার হতে চলেছে হতে চলেছে সেটি। রোজ ৫৫ গ্যালন জল সেখানে পরিশোধন করা যাবে। স্থানীয় পুরসভাগুলি এই প্রকল্প গড়ে তুলতে বা তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারবে না বলে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু মানুষ যাতে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত না থাকেন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেএমডিএ এই প্রকল্প গড়ে তুলছে এবং প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ করবে। প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা খরচ করে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্প পূর্ণ মাত্রায় চালু হলে ২০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। এখান থেকে পরবর্তীকালে পাইপের মাধ্যমে আমরা উত্তর কলকাতা ও ব্যারাকপুর মহকুমাতেও জল নিয়ে যেতে পারবো। জল শোধনাগারের পাশে আমকা একটা ইকো পার্কও গড়ে তুলছি।’

আরও পড়ুন- রাজ্য জুড়ে অকাল বৃষ্টি, দুপুর থেকেই ভিজলো তিলোত্তমা!

 

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...