ভারতের শেষ মুহূর্তের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দেশে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের তিনিই প্রধান অতিথি। ভারতের সঙ্গে সামরিক নীতি ও সৌজন্যের সম্পর্ককে হাতিয়ার করেই একসঙ্গে রাজস্থান সফর ও কুচকাওয়াজে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ফরাসি রাষ্ট্রপতির।
দেশের ৭৫তম সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রথমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে তিনি না আসতে পারার কথা জানান। তারপরই আমন্ত্রণ জানানো হয় এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-কে। বৃহস্পতিবার বেলা ২.৩০টায় ভারতে পা রাখবেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি। ম্যাক্রোঁ রাজস্থানের জয়পুর থেকে যাবেন অম্বের দুর্গ দেখতে। হেঁটেই দেখবেন দুর্গ। এর পর ফরাসি প্রেসিডেন্টে যাবেন যন্তর মন্তর। সেখানেই মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাঁর। হবে ‘রোড শো’। রাতে তিনি উড়ে যাবেন দিল্লি, শুক্রবার কুচকাওয়াজে যোগ দিতে।
এর আগে জুলাই মাসে ফ্রান্সের আমন্ত্রণে ‘বাস্তিল ডে’ উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি নিয়ে সেসময় আলোচনা হয়। বর্তমানে ফ্রান্স ভারতের দ্বিতীয় বৃহৎ সামরিক সামগ্রী সরবরাহ করে। দেশের অসামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও ভারত ফ্রান্সের ওপর অনেকটা নির্ভর করে। ম্যাক্রোঁ-র পক্ষ থেকেও সেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় সম্মতি দেওয়া হয়। ২৬ জানুয়ারি কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি নয়াদিল্লি-প্যারিস দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তবে ম্যাক্রোঁ বৃহস্পতিবার ভারতে এসে দিল্লিতে না গিয়ে উঠলেন রাজস্থানে।
বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে ধরলে মোট ৫ জন ফরাসি রাষ্ট্রনেতা ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়েছেন— ভ্যালেরি গিসকার্ড ডি’ইস্টাইং (১৯৮০), জাক শিরাক (১৯৯৮), নিকোলাস সারকোজি (২০০৮) এবং ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ (২০১৬)। এ ছাড়া ১৯৭৬ সালে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি ছিলেন শিরাক।