বারাকপুরে বিজেপির মিছিল আটকাতে সোমবার পুলিশ যে সংযত মনোভাব দেখিয়েছে, এরপর বিজেপির পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলা মানায় না। তা বামফ্রন্টের পুলিশ হলে এই পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হতো।এটা এই সরকারের পুলিশ বলেই কোনও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাফ জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।তিনি বলেন, একটা বিশৃঙ্খল জনগণকে আটকাতে পুলিশের যা যা করা উচিত সংযত ভাবে পুলিশ তাই করেছে। জল কামান নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্তবাবু বেশ বিচলিত বলে তিনি কটাক্ষ করেন।

এদিন কুণাল বলেন, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে যদি কোনও মিছিল এগোয় পুলিশ নিশ্চয়ই বসে বসে দেখবে না। তাই পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। পুলিশকে ইট পাটকেল মেরেছে, পাথর ছুঁড়ে মেরেছে, গন্ডগোল করেছে। পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি করছে, তাই পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে। আসলে গেরুয়া সমর্থকরা যে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করতে পারে তা আগেই আঁচ করেছিল পুলিশ। সেইমতো ব্যারিকেড করে চিড়িয়ামোড়ের কাছে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ।

কিন্তু একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। প্রাথমিক ভাবে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা হলেও ক্রমাগতই পুলিশের উপর আক্রমণ করতে থাকেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ, ইটবৃষ্টির জেরে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।পুলিশ সংযত থাকাতেই কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
