মমতা-মডেলেই বাজেটে জোর মহিলা ক্ষমতায়ন থেকে শিক্ষা-স্বাস্থ্যে

যারা ভাড়া বাড়ি, বস্তি, কলোনির বাসিন্দাদের নিজের বাড়ি কেনা বা তৈরির জন্য প্রকল্প নিয়ে আসছে কেন্দ্র সরকার। বাংলায় এধরনের প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন আগেই নিয়েছেন।

কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেটে মূলত চারটি ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। দরিদ্র, মহিলা, যুব সম্প্রদায় ও অন্নদাতা কৃষক শ্রেণির ক্ষমতায়নই বাজেটের সাফল্যের চাবি হিসাবে ঘোষণা করেন তিনি। তবে এই চার শ্রেণির উন্নয়নে যে নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র সরকার সেখানে সব ক্ষেত্রেই বাংলার অনুসরণ, বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিতেই কেন্দ্রকে চলতে দেখা গিয়েছে এদিন।

এর আগেই মহিলাদের সরাসরি আর্থিক সাহায্যের পথে হেঁটেছিল কেন্দ্র সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে ১ লক্ষ মহিলাকে ‘লাখপতি’ করার দাবি করেছেন। আগামী অর্থবর্ষে সেই লক্ষ্যকে বাড়িয়ে ২ কোটি থেকে ৩ কোটি করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে বলে ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। আখেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে অনুসরণ করেই মহিলা ক্ষমতায়ন নির্ভর করছে মোদি সরকারের।

দরিদ্রের পাশে দাঁড়াতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের জন্য নতুন আবাস যোজনা প্রকল্প নেওয়ার কথা ঘটা করে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই শ্রেণির মানুষ যারা ভাড়া বাড়ি, বস্তি, কলোনির বাসিন্দাদের নিজের বাড়ি কেনা বা তৈরির জন্য প্রকল্প নিয়ে আসছে কেন্দ্র সরকার। বাংলায় এধরনের প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুদিন আগেই নিয়েছেন। যে প্রকল্পে জমির পাট্টা বিলি, চা শ্রমিকদের বাড়ি তৈরি পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। আবার বস্তি এলাকার মানুষও পাচ্ছেন নিজস্ব বাড়ি। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথই অনুসরণ প্রধানমন্ত্রীর।

যুব সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হয়েছে কর্মমুখী প্রকল্পে। যেখানে নির্মলা সীতারমণ তুলে ধরেছেন ৩০০০ নতুন আইটিআই তৈরির তত্ত্ব্। এই আইটিআই থেকে প্রশিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের পরিমাণ ১.৪ কোটি, পারদর্শিতা বাড়িয়েছে ৫৪ লক্ষ যুব সম্প্রদায়। তবে এই প্রকল্প বাংলায় ব্যাপক হারে আইটিআই তৈরির পরিকল্পনার পরেই।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র যেখানে বর্তমান কেন্দ্রের অধীন হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নত করে মেডিক্যাল কলেজ হিসাবে গড়ে তোলা হবে। বিভিন্ন দফতরের অধীনে থাকা এই সব হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি কমিটিও। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প অনেক আগেই নিয়েছেন এবং বাংলায় তা সফলভাবে প্রয়োগ করে তৈরি হয়েছে অনেক মেডিক্যাল কলেজ। সেই সংখ্যা আরও বাড়ানোর প্রকল্প ঘোষণা হয়েছে যখন বাংলায় তখন গোটা দেশে সেই ধরনের প্রকল্প প্রথম শুরুর পথে নরেন্দ্র মোদি। এই জন্যই হয়তো বলে What Bengal thinks today, India thinks tomorrow.

Previous articleইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বিরাট-রোহিতের প্রশংসায় রজত, কী বললেন তিনি?
Next articleআদালতের নির্দেশের পরই খুলল জ্ঞানবাপীর বন্ধ তেহখানা! মধ্যরাতেই বিশেষ পূজার্চনা হিন্দু পক্ষের