‘আজ কাল পরশুর গল্প’: শ্রুতিসন্ধ্যায় অন্য ভূমিকায় মঞ্চ মাতালেন দেবাশিস-সত্যম-ত্রিদিবরা

কেউ থাকেন প্রশাসনিক দায়িত্বে, কারও কাঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুভার, কেউ তাল মেলান পাঠক-লেখকের মাঝে। শনিবার, দক্ষিণ কলকাতার উত্তম মঞ্চে তাঁরাই ধরা দিলেন একেবারে অন্য ভূমিকায়। ‘আমাদের উচ্চারণ’ আয়োজিত শ্রুতিসন্ধ্যা ‘আজ কাল পরশুর গল্প’। পরিবেশিত হয় চারটি শ্রুতি-নাটক। এই সন্ধের আকর্ষণ ছিল বিধায়ক দেবাশিস কুমার (Debashish Kumar), লেখক-প্রকাশক-সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় (Tridiv Chatterjee) এবং সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী (Satyam Ray Chowdhury) অভিনয়। অন্য জগতের তিন নক্ষত্রের অনবদ্য অভিনয় মন ছুঁয়ে যায় দর্শকদের।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যস ‘দেবী চৌধুরানী’। নাট্যরূপ দিয়েছেন সোমা ঘোষ। জমিদার হরবল্লভ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন দেবাশিস কুমার, ডাকাত সর্দার ভবানি পাঠকের চরিত্রে ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, ব্রজেশ্বরের চরিত্রে সত্যম রায়চৌধুরী। পেশাদার বাচিক শিল্পীদের পাশে নিজেদের শিল্প দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন সত্যমরা। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন দেবযানী বসু কুমার, চুমকি চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ দে, ভাস্কর পাল, বিশাখা সেনগুপ্ত, অরুশ্রী রায়চৌধুরী, সৌম্যা নিয়োগী, তিলক ভট্টাচার্য, শকুন্তলা সান্যাল, সোমা ঘোষ, সুস্মেলী দত্ত প্রমুখ।

‘দেবী চৌধুরানী’ ছাড়াও পরিবেশিত হয় আরও তিনটি শ্রুতি-নাটক- ‘ভূমিকম্প’, ‘ঘর বাঁচানোর তাগিদে’ এবং ‘আমি সে ও সখী’। ‘ভূমিকম্প’-র লেখক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। নাট্যরূপ সুস্মেলী দত্তের।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, নেত্রীর নির্দেশে রবিবার রেড রোডে ধরনা মঞ্চের দায়িত্বে যুব তৃণমূল

‘ঘর বাঁচানোর তাগিদে’ লেখা দেবযানী বসু কুমারের। নাট্যরূপে সুস্মেলী দত্ত। ‘আমি সে ও সখী’ শ্রুতি-নাটকটি নির্মিত হয়েছে মহানায়ক উত্তম কুমারকে মনে রেখে। সংলাপের পাশাপাশি ছিল কয়েকটি জনপ্রিয় গান। অভিনয় করেন সন্দীপ দে, দেবযানী বসু কুমার, সুপ্তশ্রী সোম, সোমা ঘোষ, সুস্মেলী দত্ত।

‘আমাদের উচ্চারণ’-এর দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই আয়োজন। প্রত্যেকটি নাটক আবহের রঙে রাঙিয়েছেন অলকেশ দে সরকার। শব্দ প্রক্ষেপণে ছিলেন হাসি পাঞ্চাল। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন অংশুমান চক্রবর্তী।

Previous articleড্র আইএসএলের প্রথম ডার্বি
Next articleপর্ষদকে কালিমালি.প্ত করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে প্রশ্ন ফাঁ.সের চেষ্টা, অ.ভিযোগ পর্ষদ সভাপতির