রামমন্দির নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি! বাংলার ‘বাঘিনী’ মমতার পাশে দাঁড়িয়ে তোপ কীর্তি আজাদের

বাংলার বকেয়ার দাবিতে রেড রোডে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) লাগাতার ৪৮ ঘণ্টার ধর্নামঞ্চে শুধু তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বও নয়, রাজ্যের বাইরের থেকে অন্যদল বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। শনিবার, ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হন প্রাক্তন ক্রিকেটর তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কীর্তি আজাদ (Kriti Azad)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসেই গেরুয়া শিবিরকে তুমুল আক্রমণ করলেন প্রাক্তন বিজেপি (BJP) সাংসদ। রামমন্দির ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তোলেন তিনি।

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেটদলের খেলোয়াড় কীর্তি (Kriti Azad) সেই উদাহরণ তুলে বলেন, “আমিও বিজেপি করতাম। আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। কপিল দেবের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে প্রথমবার যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, সেই দলে হিন্দু, মুসলমান, শিখ সকলে ছিল। কোনও জাত পাতের ভেদাভেদ ছিল না।“ এরপরেই রামমন্দিরে বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের অ্যাজেন্ডা করার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “এখন দেশে বিজেপি জাতপাতের রাজনীতি চলছে। আমি সীতার দেশের লোক। আমার থেকে রাম সীতা কে ভালো বোঝে? এরা মহিলাদের কথা বলে কিন্তু সীতার সম্মান দেয় না। জয় সিয়া রাম বলে না।“

রামমন্দির উদ্বোধনে শঙ্করাচার্যদের আপত্তির প্রসঙ্গ তুলে কীর্তি আজাদ জানান, তিনি নিজেও সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “আমাদের সনাতন ধর্মের মধ্যে, হিন্দু ধর্মের মধ্যে সমস্ত রং রয়েছে। আমি প্রকৃত হিন্দু হলে সকল ধর্মের মানুষকে সম্মান করবো। শঙ্করাচার্যরা রামমন্দিরের উদ্বোধনে আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে, তাঁদের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। বিজেপি রামমন্দিরের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে।“

তৃণমূল সভানেত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের- জানান কীর্তি আজাদ। বলেন, “দিদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। উনি যখন সোমনাথ চ্যাটার্জিকে হারিয়ে সংসদে এসেছিলেন তখন আমার বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। দিদিকে দেখেই বাবা বলেছিলেন অনেক দূর যাবে। দিদি হলেন বাঘিনী।“

Previous articleপ্রয়াত জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা-পরিচালক সাধু মেহের, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের
Next articleআপ সরকারের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই ইস্তফা পাঞ্জাবের রাজ্যপালের