আপ সরকারের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই ইস্তফা পাঞ্জাবের রাজ্যপালের

চণ্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনে অস্বচ্ছতা নিয়ে ডামাডোল ও আপ সরকারের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই ইস্তফা দিলেন পাঞ্জাবের রাজ্যপাল। পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনওয়ারিলাল পুরোহিত। তাঁর এই হঠাৎ ইস্তফায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে। অবশ্য পুরোহিত জানান, ব্যক্তিগত কারণে ও অন্যান্য কিছু কাজে ব্যস্ত থাকবেন বলেই পদত্যাগ করছেন তিনি।

২০২১ সালের ২৯ অগাস্ট পঞ্জাবের রাজ্যপাল ও চণ্ডিগড়ের প্রশাসক পদে বসেন বনওয়ারিলাল পুরোহিত। এর আগে তামিলনাড়ু ও অসমের প্রাক্তন রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে উদ্দেশ্য করে পদত্যাগপত্রে পুরোহিত লিখেছেন, “ব্যক্তিগত কারণে ও অন্যান্য কিছু কাজে ব্যস্ত থাকব বলে আমি পাঞ্জাবের রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের প্রশাসক পদ থেকে পদত্যাগ করছি। অনুগ্রহ করে আমার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমায় বাধিত করবেন।”

কংগ্রেসের টিকিটে নাগপুর কেন্দ্রে ২ বার সাংসদ হওয়ার পর দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন পুরোহিত। ১৯৯১ লোকসভা ভোটে অযোধ্যা থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে হারেন বনওয়ারিলাল। ১৯৯৬ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে নাগপুর কেন্দ্রে জয়ী হন তিনি। এরপর আর কখনও ভোটে জিততে পারেননি। মাঝে একবার বিজেপি ছেড়ে নিজের দল গড়েছিলেন, পরে আবার বিজেপিতে ফেরেন। সক্রিয় রাজনীতি ছেড়ে ২০১৬ সালে অসমের রাজ্যপাল হন। ২০২১ সালে পাঞ্জাবের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হওয়ার পর সেখানকার আপ সরকারের সঙ্গে রীতিমতো সংঘাত চলে তাঁর।

Previous articleরামমন্দির নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি! বাংলার ‘বাঘিনী’ মমতার পাশে দাঁড়িয়ে তোপ কীর্তি আজাদের
Next articleরাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত কোন মশার জন্য? স্বাস্থ্য দফতরকে ভাবাচ্ছে ‘বিলুপ্ত’ মশা