Monday, May 12, 2025

রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত কোন মশার জন্য? স্বাস্থ্য দফতরকে ভাবাচ্ছে ‘বিলুপ্ত’ মশা

Date:

গত কয়েক বছর ধরে শীতের শুরুতেও রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত স্বাস্থ্য দফতরকে যথেষ্ট সমস্যায় রেখেছে। বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি ডেঙ্গি সংক্রমণ। এবার সেই ডেঙ্গির উৎস সংক্রান্ত নতুন তথ্য বেরোলো উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নিবন্ধে। তাঁদের গবেষণায় বেরিয়ে এল ১০০ বছর আগে রোগ ছড়ানো একটি মশার প্রজাতি যা ডেঙ্গি ও গোদের জীবাণু ছড়ানোর ‘কারিগর’। আর এই মশা উত্তরবঙ্গের তরাই এলাকায় এই মশারই সন্ধান পেলেন গবেষকরা।

প্রায় একশো বছর আগে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ব্রিটিশ প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের বইতে উল্লেখ ছিল হিমালয় পাদদেশের হিমাচল থেকে আসাম পর্যন্ত বিভিন্ন পশুপাখি কীট পতঙ্গের কথা। সেখানে গায়ে সাদা পশমের আবরণ দেওয়া মশা স্মোয়ি মসকুইটো-রও উল্লেখ ছিল। ১৯০৮ সালে এই মশা প্রথম আবিষ্কার করেন উইলিয়াম থিওবল্ড নামে এক উদ্ভিদবিজ্ঞানী। কিন্তু ১৯২০ সালের পর থেকে এই মশার অস্তিত্ব আর ভারতে দেখা যায়নি। তবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের গবেষক রত্নদীপ সরকার, অভিরূপ সাহা, শুভজিৎ দাস এবং প্রাপ্তি দাসদের গবেষণায় দেখা গেল সেই কুখ্যাত মশা আবার বংশবৃদ্ধি করছে হিমালয়ের কোলে তরাইয়ের জঙ্গলে।

থাইল্যান্ড এলাকায় স্নোয়ি মসকিউটোর অস্তিত্ব এখনও বর্তমান। তবে কীভাবে সেই মশা আবার ভারতে এলো তা নিয়ে এখনও গবেষণা চালাবেন গবেষকরা। সেক্ষেত্রে এই মশার অভিযোজন পরীক্ষা করতে হবে তাদের। সাধারণত স্যাঁতস্যাতে ঝোপ, বাঁশঝাড় এলাকা বেশি পছন্দ এই মশার। সেক্ষেত্রে তরাই এলাকা এদের জন্য আদর্শ। আর সেখানেই ডেঙ্গি ছড়িয়ে মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছিল এই শতাব্দী প্রাচীন মশা। গত দুবছর রাজ্যের পার্বত্য এলাকাতেও ডেঙ্গি বেশ প্রভাব ফেলেছিল। তবে তরাই এলাকা ছাড়াও রাজ্যের বাকি অংশে ডেঙ্গির প্রকোপও এই মশার কারণে কী না এখন তা-ই পর্যালোচনায় স্বাস্থ্য দফতর।

Related articles

পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলায় মদতের কথা স্বীকার করে ফেলল পাকিস্তান

২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন CRPF জওয়ান। জঙ্গি...

দেশের স্বার্থ বিরোধী: অশান্তির পরিস্থিতিতে বামেদের মিছিলকে ধুইয়ে দিলেন কুণাল

পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যখন কেন্দ্রের সরকার অপারেশন সিন্দুর-এর মতো অভিযান চালাচ্ছে দেশের সেনা, সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা...

ঝাড়গ্রামে ‘সাদা পাহাড়’ ঘিরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

ঝাড়গ্রামের (Jhargram) পর্যটন পরিকাঠামোয় বড়সড় উন্নয়নে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। বেলপাহাড়ির ‘সাদা পাহাড়’ বা স্থানীয়দের কথায় ‘চেতন ডুংরি’ এলাকায়...

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল! ধর্মতলায় ভূগর্ভস্থ পার্কিং প্লাজা-টানেল

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মেট্রো (Metro) সম্প্রসারণের ফলে ধর্মতলা দ্রুতই হয়ে উঠবে কলকাতার...
Exit mobile version