সার্বভৌম ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে দেব না: পার্লামেন্ট ভাষণে মইজ্জুর নিশানায় ভারত!

চিনের ‘পরামর্শে’ কট্টর ভারত বিরোধিতায় নেমেছে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। সোমবার দেশের পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখাকালীন তাঁর গলায় ফের শোনা গেল ভারত বিরোধী সুর। তিনি বলেন, “কোনও দেশকে আমাদের সার্বভৌম ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে দেব না।” তবে কোনও দেশের নাম না নিলেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মইজ্জুর নিশানা যে ভারতের দিকে তা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। অবশ্য চিনঘেঁষা অবস্থানের জেরে দেশের অন্দরে বেশ বিপাকে মইজ্জু। এদিন অধিবেশন শুরুর আগেই প্রেসিডেন্টের ভাষণ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় দুই প্রধান বিরোধী দল। ফলে মাত্র ২৪ জন সাংসদের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন তিনি।

মালদ্বীপ থেকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সেনা সরানোর সময়সীমা দিয়েছিল মইজ্জু সরকার। মলদ্বীপে হেলিকপ্টার চলাচলের জন্য ভারতীয় সেনার তিনটি ঘাঁটি রয়েছে। এ দিন পার্লামেন্টে মুইজ্জু জানান, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রথম ঘাঁটিটি থেকে সরে যাবে ভারতীয় সেনা। বাকি দু’টি ঘাঁটি থেকে সেনা সরবে ১০ মে-র মধ্যে। তবে সেনা সরানোর বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। এরইমাঝে দেশের পার্লামেন্টে ‘সার্বভৌম ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ’ সংক্রান্ত বিবৃতি ভারতকে উদ্দেশ্য করেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসাবে ভারতীয় সেনার ৮০ জন সদস্য মলদ্বীপে রয়েছে। মলদ্বীপের সেনাকে যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেয় তারা। পাশাপাশি মলদ্বীপের অন্তর্গত প্রত্যন্ত দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং চিকিৎসার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও রয়েছে ভারতীয় সেনার কাঁধে।

অন্যদিকে, সোমবার প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর ভাষণ ‘বয়কট’ করে সে দেশের প্রধান দু’টি দল মলদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এমডিপি) এবং দি ডেমোক্র্যাটস পার্টি। এই দু’টি দলই মুইজ্জুর ‘উগ্র ভারত বিরোধী নীতি’র কড়া সমালোচনা করেছিল।

Previous articleমলয় ঘটকের মামলা শুনবেন না শীর্ষ আদালতের বিচারপতি! কী জানালেন দীপঙ্কর দত্ত
Next articleনরেন্দ্রপুরকাণ্ডে কেন গ্রেফতার নন প্রধান শিক্ষক, জানতে চাইল ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট