শ্রীদেবীর (Sridevi) মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)! হ্যাঁ, শুনতে একটু অবাক লাগলেও এবার সামনে এল এমনই অভিযোগ। তবে শুধু মোদিই নন, নাম রয়েছে মোদির দফতরের আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এমনই দাবি করে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ইউটিউবার (Youtuber) দীপ্তি আর পিন্নিতি। ভুবনেশ্বরের এই ইউটিউবারের অভিযোগ, জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনা পূর্ব নির্ধারিত। অভিনেত্রীকে হত্যার জন্য ভারতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল আরব সংযুক্ত আমিরশাহির সরকারও। দীপ্তি এই অভিযোগ তুলে তাঁর ইউটিউব চ্যানেল থেকে একাধিক ভিডিয়ো পোস্ট করে একাধিক তথ্য সামনে আনেন। যে ভিডিও সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ। তবে দীপ্তির সাফ জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এমন কিছু সত্য আছে যেগুলি প্রমাণ হিসাবে আদালতে দেখাতে চান তিনি। এমনকি, দুবাই থেকে সাক্ষী দিতে এক ব্যক্তি আদালতে হাজিরা দিতে পারেন বলেও জানিয়েছেন ভুবনেশ্বরের এই ইউটিউবার।
তবে শুধুমাত্র শ্রীদেবীই নন, বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajpoot) মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দীপ্তি। আর মোদির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে ইউটিউবারের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। মুম্বাইয়ের আইনজীবী চাঁদনি শাহ প্রথমে দীপ্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দীপ্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দীপ্তির দাবি, শ্রীদেবী এবং সুশান্তের মৃত্যুর নেপথ্যকারণ কী তা নিয়ে নিজে থেকেই তদন্ত করছেন তিনি। এরপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দীপ্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই তাঁর বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করে। সিবিআই আধিকারিকদের বক্তব্য, ইউটিউব ভিডিয়ো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর চিঠি এবং নথিপত্র প্রমাণ হিসাবে দেখিয়েছেন দীপ্তি যেগুলি নকল বলেই দাবি সিবিআইয়ের। সেই নথিতেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নাম।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলি অভিনেত্রী শ্রীদেবী। কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা চলছে এখনও। পাশাপাশি সুশান্ত সিংয়ের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়েও অনেক প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু নানা জল্পনার পর আচমকাই কিছু না জানা সত্য সামনে নিয়ে আসেন ওই ইউটিউবার। যার জেরে লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকার তথা বিজেপি বেকায়দায় পড়ে কী না সেটাই দেখার।
