এবার মহাভারতের ‘জতুগৃহ’কে স্বীকৃতি আদালতের, ৫৩ বছরের মামলার অবসান

সংরক্ষিত স্থানে মহাভারতের জতুগৃহের অস্তিত্বের পক্ষে রায় দিল বাগপত আদালত। ইসলামিক সাধকের মাজার ও কবরস্থানের আবেদন নাকচ করল আদালত।

উত্তর ভারত জুড়ে যখন রাম-নামের মাহাত্ম্য তুলে ধরতে ব্যস্ত শাসকদল বিজেপি, তখন উত্তর প্রদেশেই জেগে উঠল মহাভারতের অস্তিত্ব। ৫৩ বছরের একটি মামলায় একটি সংরক্ষিত স্থানে মহাভারতের জতুগৃহের অস্তিত্বের পক্ষে রায় দিল বাগপত আদালত (Baghpat Court)। ইসলামিক সাধকের মাজার ও কবরস্থানের আবেদন নাকচ করল আদালত।

১৯৭০ সালে উত্তরপ্রদেশের বাগপতের হিন্দন (Hindon) ও কৃষণি (Krishni) নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় বারনাওয়া গ্রামে একটি মাজার এলাকায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রবেশে বাধা দেওয়ার আবেদন নিয়ে বাগপত আদালতের দ্বারস্থ হন মাজারের রক্ষক। এত বছর ধরে সেই মামলা ঝুলেই ছিল। সম্প্রতি উত্তর ভারতে বিজেপির ধর্মীয় রাজনীতি প্রকাশ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পর এবার ৫৩ বছর পুরোনো সেই মামলায় মাজার রক্ষকের আবেদন খারিজ করে দিল। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ ১৯২০ সালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) একটি সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী মিরাট শহরের ১৯ মাইল দূরে একটি ভগ্ন এলাকার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল যা মহাভারতের সময়ের পাণ্ডব দহনের ‘জতুগৃহ’ (Lakha Mandap) বলে অনুমান করা যেতে পারে।

মাজার পক্ষের দাবি ছিল সুফি সাধক বদরুদ্দিন শাহ ৬০০ বছর আগে ওই জায়গায় সৌধ ও পরে তাঁর সমাধি ওখানে তৈরি হয়। সেখানে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ জোর করে ঢুকে যজ্ঞ করছিল। তাঁদের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু ৫৩ বছর আগের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। যদিও ১৯২০ সাল থেকেই এএসআই-এর এই প্রমাণ থাকলেও তা এতদিন তুলে ধরা হয়নি আদালতে। সম্প্রতি রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পর এরকম অনেক তত্ত্বই বেরিয়ে আসছে যা একাধিক মামলায় ইসলামদের আর্জির বিরুদ্ধে হিন্দুদের আর্জিকে প্রতিষ্ঠা দিচ্ছে।

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleমধ্যপ্রদেশে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ৬, ভস্মীভূত ৬০ টি বাড়ি