বিক্ষোভ-আন্দোলনে ‘আসল’ কাজে ফাঁকি, চাকরি ‘বাতিল’ শিক্ষকদের ভর্ৎসনা বিচারপতির

তাঁর কথায়, ‘বেতন সহ পাঁচটা জিনিস নিয়ে মগজমারি করবে। কিন্তু মন দিয়ে পড়াবে না।

আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকদের তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে শিক্ষকরা যতটা চিন্তিত, তাঁরা তাঁদের ‘আসল’ কাজ নিয়ে ততটা চিন্তিতই নন, এমনটাই বলেন বিচারপতি।

আদালতের নির্দেশে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা ও নিয়োগ নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বারবার বলা হয়েছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির পথ এরাজ্যে খোলা। সেই মতো যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে সুপার নিউমোরারি পদ তৈরি করেও চাকরির পথ খোলা হয়েছে। যদিও আদালতে মামলা হয় সেই পদ তৈরি করে চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের চাকরি দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে। সোমবার রাজ্যের রিপোর্ট চাইল আদালত।

বুধবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্পষ্ট বলেন যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের নিয়ে তিনি একটু চিন্তিত নন। তার কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন ‘তাঁরা চাকরি পাওয়ার জন্য ঝুলোঝুলি করবে, তারপর বলবে আমাকে বাড়ির কাছে বদলি দাও। আজকে উৎসশ্রী, কাল শুভশ্রী বলে আবেদন করবে!’

মামলা চলাকালীন বিচারপতি জোর দেন সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের ওপর। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘আমি এই ধরনের মামলা শুনি তো বুঝি। ওদের একটা সিম্পল ম্যাথ টেস্ট নাও, দেখবে কী ফল করে’। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন বেতন সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে শিক্ষকরা অনেক বেশি চিন্তিত। তার ফলে তাঁরা নিজেদের আসল কাজটিই করেন না। ফলে ছাত্রছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন।

বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন কেন যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁদের বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবার নিতে হবে। তার থেকে ছাত্রদের ভবিষ্যতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, ‘বেতন সহ পাঁচটা জিনিস নিয়ে মগজমারি করবে। কিন্তু মন দিয়ে পড়াবে না। তাই আমি চাকরিহারা শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবিত নই। রাজ্যের অনেক সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক স্কুল ধুঁকছে। অনেক স্কুলে কোনও ছাত্র নেই।’

Previous articleকয়লা চুরি রুখতে গিয়ে হামলার মুখে পুলিশ-CISF! আসানসোলে গ্রেফতার ৭
Next articleদেশে এগিয়ে বলেই বাংলাকে বঞ্চনা কেন্দ্রের! প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রীর