CAG-এর রিপোর্ট ঠিক নেই, তথ্য দিয়ে দাবি মুখ্যসচিবের

মুখ্যসচিব প্রশ্ন তোলেন এতদিন ধরে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না হয়ে থাকলে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কেন এত বছর ধরে রাজ্যে অডিটর জেনারেলকে কোনও নির্দেশ বা তথ্য দেননি। এমনকি প্রতিবছর কেন্দ্রের তদন্তকারী দল রাজ্যে এসে রিপোর্ট তৈরি করছে।

বাম জমানার হিসাব গরমিলের দায় নেবে না বর্তমান সরকার, CAG রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই দাবি করেছিলেন। রিপোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল ওঠার পরই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের তরফে। আর সেই বিস্তারিত রিপোর্ট আসতেই পরিষ্কার হয়ে যায় যাবতীয় কারচুপির ছবি। শুক্রবার সেই সব তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief Secretary) পি বি গোপালিকা দাবি করেন CAG রিপোর্ট ঠিক নেই।

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব দাবি করেন, CAG রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ আসার পরই রাজ্যের তরফ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টে সরকারের আটটি দফতরের গরমিলের তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজ্য সরকার এরপরই আটটি দফতরের সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (Utilisation Certificate) সংগ্রহ করে। মুখ্যসচিবের দাবি, আটটি দফতরই প্রতিটি কাজ সম্পূর্ণ করে এবং রিপোর্ট পাঠায় কেন্দ্র সরকারের কাছে। তার পরেই পরবর্তী বছরগুলিতে সেই দফতরের জন্য অর্থ মঞ্জুর (grant) করে কেন্দ্র সরকার। মুখ্যসচিবের দাবি, যদি কাজ অসম্পূর্ণ থাকে তাহলে পরবর্তী অর্থবর্ষের টাকা কীভাবে মঞ্জুর করে কেন্দ্র সরকার।

এই CAG রিপোর্টে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার গরমিলের অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিবের দাবি, এই হিসাব কুড়ি বছরের দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন CAG রিপোর্ট বিস্তারিত দেখলেই দেখা যাচ্ছে সেই রিপোর্ট ২০০২-০৩ থেকে আছে। অর্থাৎ ২০ বছরের রিপোর্ট যোগ করে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেই কারণেই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে। যে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার গরমিলের বিষয়টি ২০২১ সালের নয়, এটা ২০ বছরের হিসাব।

পাশাপাশি মুখ্যসচিব প্রশ্ন তোলেন এতদিন ধরে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা না হয়ে থাকলে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কেন এত বছর ধরে রাজ্যে অডিটর জেনারেলকে কোনও নির্দেশ বা তথ্য দেননি। এমনকি প্রতিবছর কেন্দ্রের তদন্তকারী দল রাজ্যে এসে রিপোর্ট তৈরি করছে। চলতি অর্থবর্ষেও ৩৩৪টি কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে এসেছে। তারা মূলত পঞ্চায়েত নিয়ে তদন্ত করেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য, শিশু ও নারী কল্যাণ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (PHE), পুর ও নগরোন্নন দফতরে (UDMA) তদন্ত চালিয়েছে তাঁরা। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের মুখে মিথ্যে দোষ চাপিয়ে রাজ্যের মুখে কালি মাখানোর চেষ্টা করা হয়েছে CAG রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই।

Previous articleপ্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে অপ্রতিরোধ্য ট্রাম্প, পেলেন ৯৭.৬ শতাংশ ভোট!
Next articleবিধানসভায় অভব্য আচরণ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ